দেশের খ্যাতনামা ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, কিসাসই এসব কসাইয়ের সমাধান।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
স্ট্যাটাসে কোনো বিষয় উল্লেখ না করলেও রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ডের সামনে হত্যাকাণ্ড ও চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ায় মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার খুতবা পছন্দ না হওয়ায় নামাজ শেষে ইমামকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার বিষয়টি ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পরে কমেন্টে বক্সে শায়খ আহমাদুল্লাহ লেখেন, কিসাস অর্থ সমপরিমাণ শাস্তি। যেভাবে যতটুকু জুলুম হবে, ঠিক সেভাবে ততটুকু প্রতিকার করা হলো কিসাস। কেন কুরআনে কিসাসের কথা বলেছে, তা আমরা দেয়ালে পিঠ ঠেকলে উপলব্ধি করতে পারি। এ ধরণের চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের বিচার সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে শেষ করতে পারলে অপরাধের প্রবণতা কমে যাবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে বছরের পর বছর ধরে বিচার কাজ চললে, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পাওয়ার পথ খোলা থাকলে এ ধরণের অপরাধ কখনো কমবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরান ঢাকায় চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগ মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসার সঙ্গে পুরোনো বৈদ্যুতিক কেবল কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। ওই এলাকায় বিদ্যুতের তামার তার ও সাদা তারের ব্যবসার একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ ছিল সোহাগের হাতে। তবে, এর নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া ছিল মহিন ও টিটু নামে আরও দুজন। তারা বাণিজ্যের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। তা না হলে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তারা। এর জেরেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ঘটনার দিন ঝামেলা মিটমাটের কথা বলে সোহাগগে বাসা থেকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায় হয়। এরপর সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করা লোকজন সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
এ ছাড়া, দুপুর ২টায় চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ায় মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার খুতবা পছন্দ না হওয়ায় নামাজ শেষে ইমাম মাওলানা আ. ন.ম. নূরুর রহমান মাদানীকে (৬০) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বিল্লাল হোসেন নামে এক মুসল্লি।