সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র জোট গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
চার দলীয় এই জোট বলেছে, এই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন রাজনৈতিক দল (এনসিপি) গঠিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকার তাদের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। সুতরাং এদের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনো অবস্থায় সম্ভব নয়। ফলে তাদের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
রোববার (৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সভাপতি কমরেড হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সামছুল আলম, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মহাসচিব হারুন আল রশিদ খান প্রমুখ।
সমাবেশে বাম ঐক্যের নেতারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের ইতিহাস গৌরবময় কোনো বিষয়কে পুঁজি করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখা। জুজুর ভয় দেখিয়ে বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে গুম-খুন করে আইনি বৈধতা দেওয়া। বিগত স্বৈরাচার আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে এই কাজটি করেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও জুলাই যোদ্ধাদের পুঁজি করে অতীতের ফ্যাসিস্টের মতো আচরণ শুরু করেছে। তারা ক্ষমতায় না থাকলে ফ্যাসিস্ট আবার ফিরে আসার জুজুর ভয়ও দেখাচ্ছে। বিগত স্বৈরাচার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পণ্যে পরিণত করেছিল; তদ্রূপ অন্তর্বর্তী সরকারও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের জুলাই যোদ্ধাকে পণ্যে পরিণত করেছে।’
তারা আরও বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে কখনো সংস্কার সংস্কার, আবার কখনো বিচার বিচার বলছে। তারা কালক্ষেপণ ছাড়া কাজের কাজ কিছুই করছেন না। দেশকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছেন। যতই দিন যাচ্ছে, সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
সম্পদের হিসাব না দিয়ে উপদেষ্টারা শপথ ভঙ্গ করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।