Friday, July 18, 2025

ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ,

আরও পড়ুন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঝালমুড়ির সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মইনুল ইসলাম মামলা ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরের দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘যে ভাইরে আগলাইয়া রাখলাম, সে-ই সব শেষ কইরা দিল’

মামলার আসামিরা হলেন- আতাউর রহমান, নয়ন হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা বেগম। তাদের মধ্যে শুধু সালমাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, সালমা বেগম তার পরিচিত। দুই মাস আগে গল্প করার জন্য তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন সালমা। এ সময় তাকে ঝালমুড়ি খেতে দেন সালমা। ঝালমুড়ি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আতাউর রহমান নামের এক মাদক ব্যবসায়ী তখন তরুণীকে ধর্ষণ করেন। আতাউর গোপনে নিজের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ঘটনাটি বাইরে জানালে ভিডিওটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তরুণীর বাবাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। এই হুমকি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি ঘটনাটি কাউকে জানাতে পারেননি।

আরও পড়ুনঃ  কুয়েটে যাওয়া প্রসঙ্গে মাহবুবের স্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য

ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার দুই নম্বর আসামি সালমাকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রধান আসামি আতাউর রহমান ও নয়ন হোসেন পলাতক আছে। তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ