পাবনার বেড়া উপজেলায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের মাধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেড়া মডেল থানার ওসি ওলিউর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার তারাপুরে গ্রামে বর্তমানে দ ‘টি মসজিদ রয়েছে। একটি পুরনো মসজিদ ও আরেকটি নতুন মসজিদ নামে পরিচিতি। কয়েক বছর আগে পুরনো মসজিদে নামাজ পরবর্তী মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা বাধে। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিন হাজীসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে সেসময় নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে নিকটে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় ভিন্ন আরেকটি পক্ষ।
জানা গেছে, সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ। এ সময় হাসুয়া, টোঁটা ও লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রে উভয়পক্ষের প্রায় ২০০-২৫০ লোকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন। তাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা সুলতানা নীলা বলেন, হাসপাতালে অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন। আপাতত দু’জন ভর্তি রয়েছেন। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বগুড়া ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বেড়া মডেল থানার ওসি ওলিউর রহমান বলেন, কিয়াম পড়া নিয়ে দুইটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিলো। শুক্রবার সকালে মসিজদের বারান্দা তৈরির সময় এটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো আটক নেই। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি।