তুরস্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে এক যাত্রীর মৃত্যু হলেও মরদেহ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। মরদেহটি কোথায় তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন মতে, গত ১৩ জুলাই তার্কিশ এয়ারলাইনসের বিমানটি তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো যাচ্ছিল। বিমানটি গ্রিনল্যান্ডের উপর থাকার সময় সত্যনারায়ণ পশুপতি (৮৩) নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক যাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এমন অবস্থায় প্রাথমিকভাবে আইসল্যান্ডের কেফলাভিক বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে ওই যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ কারণে বিমানটি আর কেফলাভিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি।
বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশের পর ক্রুরা এটি শিকাগোর ও’হারে বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। বড় এ বিমানবন্দরটি আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেখানে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ।
অবতরণের পর বিমান থেকে বিমান যাত্রীর মরদেহ নামানো হয়। সেখান থেকে এটি শিকাগোর কুক কাউন্টির মেডিকেল পরীক্ষকের অফিসে নেয়ার কথা ছিল। তবে মেডিকেল পরীক্ষকের মুখপাত্র জানান, তাদের কাছে এ ধরনের কোনো মরদেহ আসেনি।
এ ঘটনায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছেন, শিকাগোতে মরদেহটি নামানোর পর সেটা সান ফ্রান্সিসকোর অপর এক বিমানে তুলে দেয়া হয়। কিন্তু এর বেশি আর কিছু জানাতে পারেননি তিনি। মরদেহটি এখন কোথায় আছে সেটা এখনও অজানা।