পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির মিছিলে না যাওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গুরুতর আহত হন কৃষক ফারুক হাওলাদার। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের আয়নাবাজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে জামায়াতকর্মী ফারুক বলেন, আমাকে বিএনপির রাজনীতি করার জন্য বিভিন্ন সময় প্রস্তাব দেন উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি জসিম পঞ্চায়েত। তাতে রাজি না হয়ে সম্প্রতি ঢাকায় জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশ নিই।
বিষয়টি জানার পর তিনি ক্ষুব্ধ হন। সেদিনই তিনি আমাকে লক্ষ্যবস্তু বানান। পরে ৫ আগস্ট বাউফলে জামায়াতের আনন্দ মিছিলে যোগদান করায় আমার প্রতি চরম ক্ষিপ্ত হন জসিম। পরদিন সকালে যুবদল নেতা জসিম ও তার লোকজন আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুকুরের মতো পিটিয়েছেন। গোপনাঙ্গে লাথি দেওয়ায় আমি প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
আমাকে তারা হুমকি দিয়ে বলে ‘তুই জামায়াত করিস, আজকের মধ্যে কালাইয়া ছাড়বি। তা না হলে তোকে মেরে ফেলব।’ এসব বলে আরেক দফা পেটানো হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, এলাকায় জামায়াতের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তাতে বাধা দেন যুবদলের জসিম ও তার অনুসারীরা। তাদের কারণে অনেক সময় দাওয়াতি কার্যক্রমও চালানো যায় না। তারা প্রতিনিয়ত বাধা দিচ্ছে। আমাদের সাংগঠনিক কাজ করতে দিচ্ছে না বিএনপির কথিত ওইসব নেতা।
পেটানোর অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা জসিম বলেন, বাউফল থানায় জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের একটি অভিযোগে আমাকে সালিশকারী মনোনীত করা হয়। ওই সালিশের আওতাভুক্ত জমি আগে থেকে চাষাবাদ করছিলেন ফারুক। আমি তাকে বলেছিলাম সালিশ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমির চাষাবাদ বন্ধ রাখতে। কিন্তু তিনি আমার কথা অমান্য করে ওই জমি চাষ করছিলেন। সে কারণে তার সঙ্গে উচ্চবাচ্য হয়েছিল। তবে তাকে আমি মারিনি। এখানে জামায়াতের দলীয় অজুহাত দেখিয়ে তাকে কোনো কিছু বলিনি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, চা-দোকানে আলোচনা-সমালোচনার কারণে যুবদল নেতা জসিম জামায়াত কর্মী ফারুকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুসি ও লাথি মেরেছেন বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।