প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়সহ সরকারি অনেক দপ্তর ও সংস্থায় এখনো রাজত্ব করছেন পতিত শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন সুবিধাভোগী কর্মকর্তারা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শীর্ষ পদগুলোতে পরিবর্তন হয়েছে সামান্যই।
হত্যাযজ্ঞের হোতা এখন পানি মন্ত্রণালয়ের সচিবহত্যাযজ্ঞের হোতা এখন পানি মন্ত্রণালয়ের সচিব
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে হাসিনার নিয়োগকৃত অধিকাংশ কর্মকর্তাই রয়ে গেছেন। তারা জোটবদ্ধ এবং নিজেদের মধ্যে কিছুদিন পরপর গোপন বৈঠকও করেন, যেন তারা সুযোগের অপেক্ষায় আছেন। এ অবস্থায় সচিবালয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে সহসাই ‘আমলা বিদ্রোহ’ এবং নির্বাচন বানচালের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
হাসিনার আর্শীবাদপুষ্ট কর্মকর্তাদের ‘প্রটেকশন’ দিচ্ছেন সরকারের ৪ উপদেষ্টাহাসিনার আর্শীবাদপুষ্ট কর্মকর্তাদের ‘প্রটেকশন’ দিচ্ছেন সরকারের ৪ উপদেষ্টা
তাছাড়া আওয়ামী সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন অনেক কর্মকর্তা। তারমধ্যে ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ তিনি মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। তিনি কারাবন্দি সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসেরের সব অপকর্মের সহযোগী এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। তাকে প্রটেকশন দিচ্ছেন একজন উপদেষ্টা।
এরা হলেন-মো. মশিউর রহমান, সিনিয়র সচিব ৫৫৬৮। মো. মনজুর হোসেন, সিনিয়র সচিব ৫৪৯০। মো. সামসুল আরেফিন, সিনিয়র সচিব ৫৭৭৩। মো. আজিজুর রহমান, সচিব ৫৯২৯। মো. নুরুল আলম, সচিব ৫৯৯৪। মো. খায়রুল আলম শেখ, সচিব ৫৯৯৬ (তিনি এস আলমকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণে সহায়তা করেন। এ-সংক্রান্ত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখায় আছে)। ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সচিব ৬০৬৫। শফিউল আজিম, সচিব ৬৩৬৫। মো. নিজাম উদ্দিন, সচিব ৫৭০৩। মো. মিজানুর রহমান, সচিব ৫৯২৪। ড. একেএম মতিউর রহমান, সচিব ৭৬৩১। এদের অবিলম্বে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো উচিত বলে সচিবালয়ের অভিজ্ঞদের মত।