পাকিস্তানের করাচির সাংঘার এলাকায় গাড়ির ভেতর থেকে এক সাংবাদিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মাথায় গুলির চিহ্ণ পাওয়া গেছে। পুলিশের বরাতে এ খবর জানিয়েছে জিও নিউজ।
প্রতিবেদন মতে, গত শনিবার (১৬ আগস্ট) খাওয়ার হুসাইন নামে এক তরুণ সাংবাদিককে গাড়ির মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হুসাইন একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেলের সাথে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, লাশ উদ্ধারের সময় তার মাথায় গুলির চিহ্ণ ছিল।
সাংঘারের সিনিয়র পুলিশ সুপার (এসএসপি) আবিদ বেলুচ সাংবাদিকদের জানান, হায়দারাবাদ রোডে একটি রেস্তোরাঁর বাইরে পার্ক করা একটি গাড়িতে সাংবাদিকের লাশ পাওয়া যায়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা প্রথমে বলেন, সাংবাদিক হুসাইন মাথায় গুলি আত্মহত্যা করেছেন। যদিও পরে তিনি বলেন, আত্মহত্যার শক্ত কোনো প্রমাণ নেই। এটা আত্মহত্যা কিনা তার সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর জানা যাবে।
ঘটনাটি প্রথম যাদের নজরে এসেছিল, তাদের মতে, সাংবাদিক হুসাইন চালকের আসনে লুটিয়ে পড়ে ছিলেন। তার হাতে তখনও একটা পিস্তল ধরা ছিল। তাই সন্দেহ করা হচ্ছে যে, তিনি নিজেই মাথায় গুলি করেছেন।
খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ততক্ষণে পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে তদন্ত শুরু করে। সাংবাদিক হুসাইন প্রায় দশ বছর ধরে করাচিতে কর্মরত ছিলেন এবং কর্মজীবনে বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন।
মর্মান্তিক ঘটনাটি নিয়ে সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি প্রাদেশিক পুলিশ প্রধানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধু পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) গোলাম নবী মেমনকে মামলাটি দক্ষ তদন্তকারীদের হাতে অর্পণ করার এবং তদন্তে কোনো ত্রুটি না রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তিনি হুসাইনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং প্রশাসনকে তাদের সহায়তা করার নির্দেশ দেন।