Saturday, August 23, 2025

‘বেশি সময় লাগেনি, ৮ থেকে ১০ সেকেন্ডে কাজ সেরেছি’

আরও পড়ুন

চট্টগ্রামের হালিশহরে দুই কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বে খুন হন সাব্বির। প্রথমে ‘পাইথন’ নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের ২২ সদস্য তাকে পিটিয়ে আহত করে। তার পেটে ছুরিকাঘাত করেন গ্যাংটির নেতা হিসেবে পরিচিত মো. আতাউল (২২)। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বিরের মৃত্যু হয়।

সাব্বির (১৮) হত্যা মামলার প্রাথমিক তদন্তে এসব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। সাব্বির মুরাদপুর এলাকার শ্যামলী আইডিয়াল টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত ১৬ মে হালিশহরের নয়াবাজার এলাকায় সাব্বিরের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় দিন পর তিনি মারা যান।

আরও পড়ুনঃ  সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

হত্যার ঘটনায় সাব্বিরের বাবা মোহাম্মদ এসহাক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত মো. আতাউলকে বৃহস্পতিবার রাতে হালিশহর এলাকা থেকে র‍্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এক কিশোরকে মারধরের প্রতিশোধ নিতে সাব্বিরের পেটে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে দাবি আতাউলের। তিনি পুলিশকে বলেন, বেশি সময় লাগেনি, ৮-১০ সেকেন্ডে কাজ সেরেছি।

হত্যা মামলাটির তদন্ত করছেন হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, আতাউল যে সাব্বিরকে ছুরিকাঘাত করেন, সেটি ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গ্রেপ্তার আসামিদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে মিটফোর্ডে ‘শাটডাউন’ ঘোষণা

সাব্বিরের বাবা মো. এসহাক জানান, তার ছেলে জুমার নামাজ পড়তে বের হয়েছিল। নামাজ শেষে এক বন্ধু তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত ও পিটুনি দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ