ঢাকার নারায়ণগঞ্জে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন ফয়সাল আহম্মেদ (৩৪) নামে এক যুবক। পরে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পরও ফয়সাল আটকে রাখেন ওই নারীকে এবং চাপ দিতে থাকেন তার প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেওয়ার জন্য।
খবর পেয়ে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। একইসঙ্গে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ফয়সাল আহম্মেদকেও গ্রেপ্তার করেছে তারা। এছাড়া, ওই প্রতারকের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর লোগো সম্বলিত ভুয়া আইডি কার্ড, ব্যাগ, পোশাক ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম।
পুলিশ জানায়, ফয়সাল আহম্মেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্টের ওয়ারেন্ট অফিসার পরিচয় দিয়ে এক বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। গত ৯ আগস্ট তিনি নিজের কর্মস্থল পরিবর্তন হয়ে ময়মনসিংহে বদলির কথা জানান ওই নারীকে। পরে ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় নিয়ে একটি ফ্ল্যাট বাসায় আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ফয়সাল। পরবর্তীতে ওই নারীকে ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় নিয়ে আটকে রাখেন তিনি।
এক পর্যায়ে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেয়ার জন্য ফয়সাল ওই নারীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন। পরে ভুক্তভোগী নারী ফয়সালের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য মুঠোফোনে তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। এরপর ওই নারীর পরিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তা চাইলে পুলিশ ফয়সালকে গ্রেপ্তার ও নারীকে উদ্ধারে অভিযান চালায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, গ্রেপ্তার ফয়সাল আহম্মেদ একজন প্রতারক। তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। এর আগেও তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি আসামিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে পাঠিয়েছি।