দীর্ঘদিন পর নির্বাচন কমিশন কার্যত একটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বড় ধরণের কোনো বাঁধা না থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ৩টি নির্বাচন বাস্তবিক অর্থেই এক দলীয় নির্বাচন ছিল। ২০১৮ সালের পাতানো নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশগ্রহণ করলেও মাঠ ছিল আওয়ামী লীগের দখলেই।
তবে আগামী নির্বাচন গত নির্বাচনগুলো থেকে অনেকটাই আলাদা। ইতোমধ্যেই বিএনপি-জামায়াত এমনকি এনসিপির প্রার্থীরা জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এবং নিজ নিজ দলের অবস্থান জানাচ্ছেন। নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো বিবাদের সংবাদ পাওয়া যায় নি।
এ সুযোগে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের তিন শতাধিক সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে অবস্থান করছেন। নির্বাচনী এলাকার জনগণকে আকৃষ্ট করতে তারা ইতোমধ্যেই নানা রকম সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকা- শুরু করেছেন। ছাত্রদের মাধ্যমে একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোও আগামী নির্বাচনে তরুণ প্রাথীদের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ পর্যন্ত হিসাব-নিকাশ করে দেখা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ১৫০ আসনেই রাজনৈতিক দলগুলো তরুণ প্রার্থীদের প্রতি আস্থা রাখতে যাচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে তরুণদের পদচারণা আরও বাড়তে পারে।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর তরুণদের দেশ গঠনে অংশগ্রহণ বেড়েছে। বিশেষ করে ২ জন তরুণ ছাত্র উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে তরুণদের লিডারশিপ থাকায় সাধারণ মানুষও তরুণদের দিকে ঝুকছে। দেশের মোট ভোটার ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে তরুণ ভোটার তিন কোটি চার লাখ সাত হাজার। মোট ভোটারের মধ্যে ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশই ১৮ থেকে ২৯ বছরের তরুণ। এসব তরুণের বড় অংশই কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এসব তরুণ কোনো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন নি। এমনকি ক্যাম্পাসগুলোতে সঠিকভাবে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাও ছিল না।
ফলে আগামী নির্বাচনে এসব তরুণ তাদের মেজাজের সঙ্গে যায় এমন দল এবং প্রার্থীকে জয়লাভের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনাই বেশি।
এসব বিষয় মাথায় রেখে নির্বাচনে জয়ের জন্য তরুণদের ভোট টানতে নানা ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্য দলগুলো। একই সঙ্গে পালন করছে নানা কর্মসূচি, নির্ধারণ করছে কৌশল।
জানা গেছে, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, গণঅধিকার পার্টিসহ প্রায় সব দলই তরুণ প্রার্থীদের নিয়ে ভাবছে। উল্লেখযোগ্য তরুণ ভোটার এবং জুলাই বিপ্লবে তরুণদের ভূমিকার জন্যই দলগুলো তরুণ প্রার্থীদের নিয়ে ভাবছে। কারণ আগামী নির্বাচনে যোগ্য তরুণ প্রার্থী জয়লাভ করা বয়ষ্ক প্রার্থীর চেয়ে সহজ হবে।
আবার তরুণ প্রার্থীরা বেশিরভাগই ক্লিন ইমেজের। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে তাদের নামে চাঁদাবাজি এবং দখলদারিত্বের অভিযোগ অনেক কম। দলগুলো ভাবছে আগামী নির্বাচন হবে স্বচ্ছ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। ফলে ক্লিন ইমেজ আগামী নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
জনকণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো থেকে অন্তত তিন শতাধিক তরুণ প্রার্থী আগামী নির্বাচনে তাদের স্ব-স্ব দল থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করার জোর তদবির চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
বিএনপির তরুণ প্রার্থীরা হলেন ॥ বিএনপির তরুণ প্রার্থীরা হলেন ঢাকা-৬ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-১৬ আসনে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, ঢাকা-৫ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার। এ ছাড়া ঢাকা থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নরসিংদী-৪ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নরসিংদী-৪ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান শ্যামল ও জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূঁইয়া রুহেল, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ডা. ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকি, টাঙ্গাইল-৩ আসনে ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল-৬ আসনে যুবদলের সাবেক সদস্য রবিউল আওয়াল লাভলু।
নরসিংদী ৩ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু এবং ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান।
চট্টগ্রাম-৫ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির উদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল, চট্টগ্রাম-৭ আসনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আব্দুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মিসকাতুল চৌধুরী পাপ্পু ও চট্টগ্রাম-৩ আসনে নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছেন।
নোয়াখালী-৪ আসনে ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির, নোয়াখালী-১ আসনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন, কক্সবাজার-৩ আসনে জেলা ছাত্রদলের সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক রাসেল ও ফাহিমুর রহমান ফাহিম, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এবং যুক্তরাজ্য আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কো-অডিনেটর আবু নাছের শেখ, নোয়াখালি-৩ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াদ ইকবাল, নোয়াখালী-৬ আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা প্রকৌশলী আমিরুল মোমিন বাবলু, নোয়াখালী-৪ আসনে বিএনপির ভারপপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সালেহ মো. সায়েমের নাম শোনা যাচ্ছে।
সিলেট-২ আসনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, সিলেট-৩ আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এমএ সালাম, সিলেট-৪ আসনে বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী ও জেলা বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক স্ট্যালিন তারিয়াং, সিলেট-৫ আসনে ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট্রের চেয়ারম্যান ফাহিম আল চৌধুরী।
মৌলভীবাজার-১ আসনে যুবদলের সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল হক সাজু, মৌলভীবাজার-২ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু, সুনামগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান কামরুল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দি লিটন ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, সুনামগঞ্জ-৪ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুরুল হক নুরুলের নাম আলোচিত হচ্ছে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাতক্ষীরা-১ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান এবং সাংবাদিক আরিফুজ্জামান মামুন, যশোর-৬ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবন, ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন মাগুরা২, যশোর-২ থেকে ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন রাজু, খুলনা-১ আসনে সাবেক ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম পাপুল ও খুলনা-৬ আসনে সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন, বাগেরহাট-১ আসনের একমাত্র তরুণ প্রার্থী হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. অহিদুজ্জামান, সাতক্ষীরা-৪ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাতক্ষীরা-১ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ সাইফুজ্জামান সাইফুল এবং ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আতিকুজ্জামান রিপন, সাতক্ষীরা-৩ আসনে জগন্নাথের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহিম কবীর মিঠু এবং ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মীর্জা ইয়াসিন আলী, যশোর-২ আসনে ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিএনপির নিখোঁজ নেতা নাজমুল হোসাইনের স্ত্রী সাবিরা নাজমুল মুন্নি।
বরিশাল-২ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, বরিশাল-৪ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ভোলা-২ আসনে জেলা বিএনপির সদস্য মারুফ ইব্রাহিম আকাশ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, পটুয়াখালী-১ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তানজীল হাসান, পিরোজপুর-১ আসনে জুলাই-আগস্টে কারা-নির্যাতিত সাংবাদিক সাঈদ খান, পিরোজপুর-৩ আসনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক নেতা এ আর মামুন খান এবং ঝালকাঠি-১ আসনে নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা এবং ঝালকাঠি-২ আসনে বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক নান্নু মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
কুমিল্লা-২ আসনে প্রয়াত নেতা এমকে আনোয়ারের ছেলে কাইজার হোসেন এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা-১০ আসনে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ।
রাজশাহী-৫ আসনে যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মোস্তফা। বগুড়া-৫ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, বগুড়া-৪ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মোস্তাকিম বিল্লাহ, জয়পুরহাট-২ আসনে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) নেতা প্রকৌশলী আমিনুর ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারওয়ার।
ময়মনসিংহ-৫ থেকে ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, ময়মনসিংহ-৪ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি রোকন উজ্জামান রোকন, ময়মনসিংহ-৬ আসনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার এবং সাবেক এমপি শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে তানভীর হোসেন রানা, ময়মনসিংহ-৩ থেকে ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহ নাসির উদ্দীন রুম্মন, ময়মনসিংহ-৭ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম লিংকন, ময়মনসিংহ-৯ আসনে ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. মামুন বিন আব্দুল মান্নান নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। টাঙ্গাইল-১ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুবাইর আল মাহমুদ রিজভী, শেরপুর-২ থেকে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সুফিয়ান, নওগাঁ-৫ থেকে ছাত্রদলের সাবেক নেতা আলী আহসান নিশান, জামালপুর-৩ থেকে জগন্নাথের সাবেক সহ-সভাপতি ইমরান হোসাইন পলাশ, জামালপুর-৪ আসনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার সালাম তালুকদারের মেয়ে সালিমা বেগম আরুণি, জামালপুর-৩ আসনে বিএনপির জলবায়ুবিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নেত্রকোনা-৩ আসনে অ্যাব নেতা প্রকৌশলী মো. মোস্তফা-ই জামান সেলিম, নেত্রকোনা-১ আসনে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, নেত্রকোনা-১ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এ টিএম আব্দুল বারী ড্যানি, নেত্রকোনা-৫ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ ইমরান, নেত্রকোনা-৩ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শরীফ, নেত্রকোনা-১ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ঝলক মিঞা, নেত্রকোনা-২ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হক হাবিব, রংপুর-১ আসনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান মাবুর ছেলে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, রংপুর-২ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এসএম ইসামন্তাজ ইজাজ শাহ্। কুড়িগ্রাম-২ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুব মিয়া।
দিনাজপুর-৫ আসনে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত আইনজীবী ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, লালমনিরহাট-২ থেকে ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান আসাদ এবং পঞ্চগড়-১ আসনে ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের নাম আলোচনায় রয়েছে।
মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন।
ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী নওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সবসময় কাজ করছি। দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে আমার নির্বাচনী এলাকা যশোর-৬ এর জনগণের পাশে আছি। ত্যাগ এবং শ্রমের মূল্যায়নে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমি আশাবাদী।
ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকে নিজের জীবন বাজি রেখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে আসছি। আগামী দিনেও দলের যে কোনো নির্দেশনা পালন করতে বদ্ধ পরিকর। আমি মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।
ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আগামীর বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ প্রজন্মের একজন প্রার্থী হিসেবে আমি মনোনয়ন পাব বলে শতভাগ আশাবাদী।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে উৎখাতের সব আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে সেবা দিয়ে আসছি। দল সঠিকভাবে মূল্যায়ন করলে আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আমি বিশ^াস করি।
প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত জামায়াতের তরুণরা ॥ তারুণ্যের জয়জয়কার দেখে জামায়াতে ইসলামীও তরুণ নেতৃত্বের দিকে ঝুঁকছে। জামায়াত আগামী নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী দেবে তরুণদের মধ্যে থেকে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ পটুয়াখালী-২, শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট শিশির মনির সুনামগঞ্জ-২, আন্তর্জাতিক ছাত্র ও যুব ফেডারেশ (ইফসুর) মহাসচিব ও খিরশেহির আহি এভরান বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বগুড়া-৪, তরুণ বক্তা মুফতি আমির হামযা কুষ্টিয়া-৩, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম লক্ষ্মীপুর-৩, শিবিরের সাবেক সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ফেনী-৩, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মুহাম্মদ মাহফুজুল হক নোয়াখালী-৬, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন মানিক ফেনী-৩, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন ঠাকুরগাঁও-১, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার নারায়ণগঞ্জ-৪, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান ঢাকা-১১, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত কুমিল্লা-১০, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অফিস সম্পাদক ড. মোবারক হোসাইন কুমিল্লা-৫, গাজীপুর সদর মেট্রো থানা আমির সালাহউদ্দিন আইউবী গাজীপুর-৪, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম শেরপুর-১, সাবেক কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চাকসুর ভিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার ঢাকা-১০, সাবেক কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন ঢাকা-৮, ইবি শাখার সাবেক সভাপতি ড. আব্দুল মান্নান ঢাকা-৬, সাবেক কার্যকরী পরিষদ সদস্য নিজামুল হক নাইম ভোলা-৩, মতিউর রহমান দিনাজপুর ১, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন পাবনা-১, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী পিরোজপুর-১ এবং মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে আমরা কাজ করছি। আমার নির্বাচনী এলাকা বাউফলে আমি দীর্ঘদিন ধরে নানান সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমি চাই বাউফল হবে বাংলাদেশের মডেল উপজেলা। আমি নির্বাচিত হলে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের সকল দুঃখ দুর্দশা দূর করার চেষ্টা করব। মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সে ব্যাবস্থা করব।
ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজ বলেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করছি। আমি নির্বাচিত হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমার সংসদীয় আসন এবং বাংলাদেশের জন্য ভালো কাজ করতে পারবো।’
অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, দীর্ঘদিনের ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করতে পারবো বলে আশা করি। আমার এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।
মাঠে কাজে ব্যস্ত এনসিপির তরুণ নেতারা ॥ ঢাকা-৯ ও ঢাকা-১১ থেকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, রংপুর-৪ থেকে সদস্যসচিব আখতার হোসেন, কুমিল্লা-৪ থেকে মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, পঞ্চগড়-১ থেকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, নোয়াখালী-৬ থেকে যুগ্ম-সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, ঢাকা-১৩ আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সদস্যসচিব হাফেজ আকরাম হোসেন, ঢাকা-১৭ আসনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সদস্যসচিব তাসনিম জারা, চাঁদপুর-৫ কিংবা ঢাকা-১৮ থেকে প্রধান সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, ভোলা-১ থেকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, বরিশাল-৫ কিংবা ঢাকা-১৪ থেকে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, কুমিল্লা-১০ থেকে যুগ্ম-সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, টাঙ্গাইল-৩ থেকে যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম-আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন পটুয়াখালী-২, যুগ্ম-সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক চট্টগ্রাম-১৬, গাজীপুর-৪ থেকে আলী নাছের খান, নীলফামারী-৪ থেকে আবু সাঈদ লিয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াা-৩ থেকে আতাউল হক, ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) অথবা ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসন থেকে যুগ্ম-মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন।
এ দিকে দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন কি না, বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তবে তারা যদি পদত্যাগ করে দলে আসেন সেক্ষেত্রে মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ এবং আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা-৩ থেকে নির্বাচন করতে পারেন বলে এনসিপি সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া যুগ্ম-আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন ঢাকা-৯, সংগঠক মো. রাসেল আহমেদ ঢাকা-১, যুগ্ম-আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্র ইউনিয়নের নেতা অনিক রায় সুনামগঞ্জ-২, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান গাজীপুর-১, যুগ্ম-সদস্য সচিব এসএম সুজা উদ্দিন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
মুখ্য সংগঠক অলিক মৃধা টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন, যুগ্ম-মুখ্য সমন্বয়ক ভীম্পালী ডেভিড রাজু খুলনা-১, যুগ্ম-সদস্যসচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান চুয়াডাঙ্গা-১, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ মাহমুদ খান গাজীপুর-৩, মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওন নীলফামারী-৩, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু বরিশাল-৫, হাসান আলী চট্টগ্রাম-১৪, নির্বাহী সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান নেত্রকোনা-২ আসন থেকে লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নরসিংদী ১ অথবা ২ থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, কুড়িগ্রাম-১ থেকে যুগ্ম-আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ থেকে যুগ্ম-সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, গাইবান্ধা-৩ নাজমুল হাসান সোহাগ, ঠাকুরগাঁও-৩ গোলাম মর্তুজা সেলিম, সাতক্ষীরা-৩ মামুন আব্দুল্লাহ তুষার।
এনসিপির মুখ্য-সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ’প্রার্থিতার বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। আমরা এ মুহূর্তে সারা দেশে এনসিপির সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করার দিকে মনযোগ দিচ্ছি, তৃণমূলে সাধারণ মানুষের উল্লেযোগ্য সাড়াও পাচ্ছি।’
এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আলম জনকণ্ঠকে বলেন, এলাকার সন্তান হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ঈদ ও রমজান, পূজায় শুভেচ্ছা বিনিময় করছি, এলাকার মানুষরাও আমাকে নিজেদের সন্তান হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
এনসিপির যুগ্ম-সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, ‘দল থেকে আমাকে আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করছি। মানুষের সুখে দুখে কাছে থাকার চেষ্টা করছি। আশা করি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি জয়লাভ করব।’
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তরুণ প্রার্থী ॥ আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বরিশাল-৩, বাংলাদেশ গণঅধিকার পার্টির সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ সংসদীয় আসন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের ছেলে রাশেদ প্রধান ঠাকুরগাঁওয়ের একটি আসন, সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এসডিপি) আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছেন।
এবি পার্টি থেকে অন্যদের মধ্যে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন, আনোয়ার সাদাত টুটুল সিরাজগঞ্জ-৬, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক-দিনাজপুর-৬, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি ঢাকা-১০, আবু রাইয়ান রছি লালমনিরহাট-১, সারোয়ার সাঈদ কক্সবাজার-৩, সাঈদ নোমান-রাজশাহী-২, আ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান-নওগাঁ-৫ এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা চুয়াডাঙ্গা-১।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, এবি পার্টি নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করছি। আমরা মনে করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে বিগত ৫৪ বছরেও বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হয়নি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এখন আমাদের জনগণের অধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।