Wednesday, July 2, 2025

তাজউদ্দীন কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে সোহেল তাজের স্ট্যাটাস

আরও পড়ুন

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘সরকারি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার দেশের ৬৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হয়।

তাজউদ্দীনের ছেলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেববুক পেজে এক পোস্টে বলেন, কলেজটি যখন সরকারি হয়, তারও অনেক আগে থেকেই এটি ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ’ নামেই পরিচিত ছিল। পূর্বে এর নাম ছিল ‘ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজ হাইলজোর’। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাত্র ৯ মাসের মাথায় স্বাধীন বাংলাদেশের এই মহানায়কের নাম বাদ দিয়ে নতুন নামকরণকে অনেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন।

আরও পড়ুনঃ  তাজউদ্দীন কলেজের নাম পরিবর্তন করায় সোহেল তাজের প্রতিবাদ

একজন প্রাক্তন ছাত্রের অনুভূতিতে এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘মুছে যাক আমার নাম, তবু বেঁচে থাকুক বাংলাদেশ’- তাজউদ্দীন আহমদের এই উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের এই মহানায়কের নাম বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্য কী? এবং এর ফলে কী সুবিধা পাওয়া যাবে? কলেজটি তাজউদ্দীন আহমদের নিজ ইউনিয়নে অবস্থিত হওয়ায় এই নাম পরিবর্তনকে আরও বেশি বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেন সোহেল তাজ।

কাপাসিয়া সদরে আরও একটি ‘কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ’ (যা এখনো সরকারি হয়নি) বিদ্যমান থাকায়, একই নামে দুটি কলেজের নামকরণ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।

আরও পড়ুনঃ  সুব্রত বাইনের গ্রেপ্তারের পর আ.লীগের নতুন যে পরিকল্পনা এবার ফাঁস হলো

সোহেল তাজ বলেন, বিগত ৫৪ বছর ধরে কাপাসিয়ায় তাজউদ্দীন আহমদের নাম নিয়ে কোনো অপরাজনীতির ইতিহাস ছিল না। তাই বর্তমান এই নাম পরিবর্তন স্থানীয় ছাত্র-জনতা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে তাজউদ্দীন আহমদের ভাস্কর্যে ছাত্র-জনতার মালা পরিয়ে ভালোবাসা প্রদর্শনের ঘটনা প্রমাণ করে, এই মহান নেতার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আজও অটুট। এই পরিস্থিতিতে নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত স্থানীয়দের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ