Thursday, July 3, 2025

বাবার লাশ নিতে অস্বীকৃতি, তারপর যা ঘটল

আরও পড়ুন

বয়স ষাটের কোটায় পৌঁছানো মো. ইব্রাহিম গত সোমবার সকালে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর খবর একমাত্র ছেলেকে জানানো হলেও লাশ গ্রহণে রাজি হননি তিনি। এমনকি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন—থাকেন নিরুদ্দেশ। শেষপর্যন্ত বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে তাঁর দাফন সম্পন্ন করে ‘বাতিঘর’ নামক একটি মানবিক সংগঠন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এসআই মো. ওহিদুর রহমান চৌধুরী জানান, ইব্রাহিমের পরিচয় নিশ্চিত করতে সময় লেগে যায়। তাঁর কাছে পাওয়া ভিজিটিং কার্ড থেকে জানা যায়, তিনি দিনাজপুরের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। ফোন করে বিভিন্ন সূত্রে তাঁর একমাত্র ছেলে ইসরাফিল সিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন—না লাশ গ্রহণ করবেন, না দাফনে অংশ নেবেন। কিছুক্ষণ পর ফোনটিও বন্ধ করে দেন।

আরও পড়ুনঃ  এক কলেজে দুই অধ্যক্ষ, চেয়ারে বসা নিয়ে টানাহেঁচড়া

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম জন্মসূত্রে হিন্দু ছিলেন। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে প্রায় ৩০ বছর আগে কসবা উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন। তাঁদের একমাত্র সন্তান হয়। কিন্তু ওই নারী পরবর্তীতে অন্য একজনকে বিয়ে করে ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই আলাদা হয়ে যান। এরপর ইব্রাহিমের সঙ্গে ছেলের যোগাযোগ ছিল না বললেই চলে।

‘বাতিঘর’ নামের সংগঠনটি মূলত বেওয়ারিশ লাশ দাফনের কাজ করে থাকে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মো. আজহার উদ্দিন বলেন,“চার বছরে আমরা ২০০ জনের লাশ দাফন করেছি। কিন্তু সন্তান থাকা সত্ত্বেও একজন বাবাকে এভাবে দাফন করতে হবে—এটা আমাদের ভীষণ কষ্ট দিয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ  সকালে পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ, দুপুরে মিলল মরদেহ, চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন পুলিশ

মঙ্গলবার বিকেলে ইব্রাহিমের দাফন সম্পন্ন হয়, তবে তাঁর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ