Sunday, October 5, 2025

রিলস ভিডিও নামে নগ্নতার ভাইরাস ছড়াচ্ছে কে এই শারমিন

আরও পড়ুন

তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক যুগে বিশ্বব্যাপী মানুষের ভার্চুয়াল যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম এখন ফেসবুক। ফেসবুকের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে অজপাড়াগাঁ। সম্প্রতি কক্সবাজারের টেকনাফে শারমিন নামের এক নারীর ফেসবুকে রিলস ভিডিওর নামে নোংরামিতে তিক্ত অতিষ্ট নেটিজেনরা। নিতান্ত গ্রামের অনগ্রসর পরিবারের এই নারী বিভিন্ন সময় রিলস ভিডিওর নামে গালিগালাজ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী ও অশুভন আচার আচরণ যে কোন সুস্থ ধারার মানুষের পক্ষে গ্রহণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে এসব ভিডিও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত ও অশিক্ষিত নারীদের উপর। অসহ্য হয়ে অনেকে এই নারীকে নিয়ে ব্যঙ্গ ভিডিও বানানোর পর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই এই শারমিন।

শারমিন আক্তার নামের এই নারী উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্চপিয়া এলাকার ফারুকের স্ত্রী।

শারমিন অফিসিয়াল নামের এই ফেসবুক একাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এই একাউন্টটি করা হয় চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী। টাইম লাইন ঘুরে দেখা গেছে, তিনি নিতান্ত গ্রামের একজন স্বল্প শিক্ষিত নারী। শুরুর দিকে লাইফ স্টাইল ব্লগ ঘরনার কিছু কিছু ভিডিও দেখা গেলেও নারীটির উপস্থাপন একেবারেই অশ্লীল ভঙ্গীর।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগ কোনো দিন ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

বিগত কয়েকমাস ধরে তার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী ও অশুভন কথা বার্তায় অতিষ্ট হয়ে দেশে এবং বিদেশে অবস্থান কয়েক জন ফেসবুক ব্যবহারকারী তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ (রোস্ট) ভিডিও তৈরী করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জবাবে শারমিন মারাত্বক গালিগালাজ ও অশ্লীল ভঙ্গীমা উপস্থাপন করে। যা কিনা সুস্থ সমাজের জন্য অগ্রহণযোগ্য। প্রতিটি ভিডিওর বিপরীতে পাব্লিক মন্তব্যের ঘরে ওই নারীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্যের বন্যা বয়ে গেছে।

মন্তব্যের ঘরে ফলোয়ারেরা ওই নারীর স্বামী ফারুককে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন- ফারুক তুই এতো ভালা, বউ লাগাই দি ফেসবুকত বেচর কলা, ফারুক তুই হিজড়া নাকিরে, ফারুকের বউ ব্যবসা এখন তুঙ্গে, আবাসিক হোটেলের মালিক ফারুককে বলছি- তোমার স্টাফ শারমিনকে হোটেলে ফিরিয়ে নাও, এতো দেখছি লাল দিঘির পাড়ের দেহ প্রসারিণী।

আরও পড়ুনঃ  ‘নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমরা সমর্থন করি না’

এর আগে শারমিনের এমন কর্মকান্ডের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারীতে ১লাখ ৫৬ হাজার ফলোয়ারের আরেকটি আইডি হাফেজ ওসমান শেখ ও সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স মিলে ফেসবুক থেকে সররাতে সক্ষম হয়েছেন বলে দ্বায় স্বীকার করেছিলেন।

ওই ঘটনায়, শারমীনের স্বামী ফারুক বাদী হয়ে হাফেজ ওসমান শেখ ও সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স সহ স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানাগেছে।

কচ্চপিয়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই দুশ্চরিত্রা নারীর আশালীন ভিডিওর প্রভাবে বিপদগামী হচ্ছে এলাকার নারীরা। তার স্বামী ফারুককে সামাজিক ভাবে বুঝানোর পরেও এসব বন্ধ হচ্ছেনা। তাই তাদেরকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বেপরোয়া নারীর মন্ধ প্রভাব থেকে এলাকার রক্ষনশীল সমাজকে পরিত্রান দিতে পারে একমাত্র স্থানীয় প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ  যুবকের কান্না দেখে সব ফিরিয়ে দিল ছিনতাইকারী!

টেকনাফ সরকারী কলেজের প্রভাষক আবু তাহের বলেন, মানসিক বিকারগ্রস্ত না হলে একজন নারী পাব্লিক পোস্টে এমন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী ও অশালীন কথা বার্তা বলতে পারে না। এই নারী নিজেকে ইতিবাচক ভাবে উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কি ভাবে নেতিবাচক ভাবে পরিচিতি লাভ করা যায় তার জলন্ত উদাহারন। এসব বন্ধ করতে সামাজিক সুরক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন সহ সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার। এটি একটি সামাজিক অবক্ষয়।

স্ত্রীর এসব অপকর্মের বিষয়ে জানতে চেয়ে স্বামী ফারুকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুটোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান উদ্দীন জানান, অশ্লীলতা একটি সামাজিক অপরাধ। এখানে যেহেতু সামাজিক বিষয় জড়িত, সেহেতু তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সামাজিক ভাবে সুরাহা করার উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ