Friday, July 4, 2025

এবার যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে ভারত!

আরও পড়ুন

সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে বাংকার ধ্বংস করতে সক্ষম (বাংকার বাস্টার) ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে ভারত। অগ্নি-৫ নামের এই আন্তঃমহাদেশীয় (আইসিবিএম) ক্ষেপণাস্ত্রটির দুটি সংস্করণ তৈরি হচ্ছে এই মুহূর্তে। ভারতের নতুন এই বাংকার ব্লাস্টার সম্প্রতি ইরান হামলায় ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের জিবিইউ ৫৭ বোমার মতোই শক্তিশালী বলে দাবি করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম।  

ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন(ডিআরডিও) এই অগ্নি-৫ তৈরি করছে। এই অগ্নি-৫ মাটির ৮০ থেকে ১০০ মিটার গভীরে গিয়ে কংক্রিটের আস্তরণ ভেদ করতে পারবে বলে দাবি করা হচ্ছে। সাড়ে ৭ হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করে নিয়ে যেতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্রের দুটি সংস্করণের একটি আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক নিয়ে বাংকার ধ্বংসের কাজ করবে। সুপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়ে দ্রুত গতিতে এগোতে সক্ষম হবে এটা। 

আরও পড়ুনঃ  কুম্ভ মেলায় মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে গোপন তথ্য উঠে এসেছে বিবিসির অনুসন্ধানে

আর দ্বিতীয় সংস্করণটির সক্ষমতা প্রথমটির চেয়েও অনেক বেশি, প্রায় দ্বিগুণ। দাবি করা হচ্ছে, পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারবে এটি।

সম্প্রতি ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে বাংকার বাস্টার বোমা জিবিইউ ৫৭ ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের নতুন ক্ষেপনাস্ত্রটিতে ব্যবহৃত বোমাও যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার জিবিইউ ৫৭-র মতোই শক্তিশালী হবে বলে দাবি করা হয়েছে।

বাংকার বিধ্বসী ক্ষেপণাস্ত্র হলো এক বিশেষ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র যা মাটির গভীরে ঢুকে লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে এবং সামরিক বাংকার, কমান্ড সেন্টার, মিসাইল রাখার জায়গা ও অস্ত্রভাণ্ডারে গিয়ে আঘাত করতে পারে। সাধারণ যুদ্ধাস্ত্র বা বোমা মাটির উপর গিয়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু বাংকার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মাটির ভিতর ঢুকে কংক্রিটে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।

আরও পড়ুনঃ  জানাগেল যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভয়ংকর অ্যাপাচি হেলিকপ্টার পাচ্ছে

এ ব্যাপারে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য  জানান, অগ্নি-৫ একটা ডেটারেন্ট হিসাবে কাজ করবে। যেকোনো দেশের মাসল পাওয়ার বাড়ানোর দরকার হয়। কোনো সন্দেহ নেই, ভারতের সামরিক বাহিনীর কাছে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

তিনি জানান, এই অস্ত্র মাটির গভীরে চলে যেতে পারে। কয়েকটা পর্যায়ে এর ডেটোনেশন হয়। প্রথমে উপরে হয়, তারপর ভিতরে ঢুকে বারবার তা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এটা নির্দিষ্ট একটি কোণে রাখতে পারলে টার্গেটে সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাত করতে পারে। তাই এই অ্যাঙ্গেল বা কোণটা খুবই জরুরি।

আরও পড়ুনঃ  ইসরায়েলের বিষয়ে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নিল স্পেনের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি

উৎপল ভট্টাচার্য বলেন, এখন মার্কিন বাংকার বাস্টার দেখার পর ভারতের এই প্রয়াস নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে, ভারত আগেই এই অস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, আধুনিক যুদ্ধে এই বাংকার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রকে খুব জরুরি বলে মানা হয়। কারণ, বিভিন্ন দেশের কমান্ড ও কন্ট্রোল কেন্দ্রগুলো এখন মাটির নিচেই তৈরি করা হয়। অস্ত্র, জ্বালানি, রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্রও মাটির তলায় রাখা হয়। সেগুলোতে আঘাত করতে চাইলে বাঙ্কার বাস্টারের কোনও বিকল্প নেই। 

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ