নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নে এক ইতালি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতেরা উড়ো চিঠি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই চিঠিতে ঘরের নারী সদস্যকে গণধর্ষণ ও পুরুষকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগি সিরাজ মিয়া পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে বুধবার রাতে উপজেলা চরকাঁকড়া ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডে সিরাজ মিয়ার ঘরের সামনে “লাল বাহিনী” ডাকাত নামে একটি খামে ঢুকানো হাতে লেখা উড়ো চিঠি রেখে যায়।
চিঠি থেকে জানা যায়, প্রেরক ছিলো ডাকাত দল লাল বাহিনীর। চিঠির ভাষা ছিল- ‘তোমার বাড়িতে যথেষ্ট পরিমান স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা আছে। যদি স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা না পাই, তোমার ছেলে ও নাতিকে দুনিয়া ছাড়া করবো এবং ছেলের বউকে তোমার সামনে আমরা সবাই মিলে গণধর্ষণ করবো।’
ভুক্তভোগী সিরাজ মিয়া জানান, তার এক ছেলে ইতালিতে থাকেন। বাড়িতে স্ত্রী, ছেলের বৌ, নাতি-নাতনি থাকেন। গত এক মাস পূর্বে তার ইতালি প্রবাসী ছেলে বাড়িতে আসে। বুধবার রাতে পর ছেলে বাজার থেকে বাড়িতে প্রবেশের সময় গেইটের সামনে একটি খাম দেখতে পায়, যার ভেতরে একটি চিঠি ছিল। চিঠিটি পড়েই পরিবারের সকলের আতঙ্কে রাত কাটে।
লাল বাহিনীর পাঠানো চিঠিটি হুবহু দেয়া হলো- ‘আসসালামু আলাইকুম, জনাব সিরাজ মিয়া। আশা করি ভালো আছেন। খুব শিগরিই রাতে আপনার সঙ্গে আপনার ঘরে দেখা হবে। আর আমরা আসলে যদি আমাদের চাহিদা মতো স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা পয়সা না পাই, আপনার ছেলেকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেব এবং আপনার ছেলের বউয়ের তুলতুলে রসালো শরিরটা আমরা সবাই মিলে ভোগ করবো, সিরাজ মিয়া কথাটা যাতে মাথায় থাকে। খুব শিগরিই তোমার বাড়িতে আমরা আসতেছি। দেখা হবে সময়মত রাতে। যদি সিরাজ মিয়া তোমার ছেলে নাতি এবং বউয়ের ইজ্জত বাঁচাতে চাও তাহলে টাকা-পয়সা, গহনাগাটি সব আমাদের চাহিদা মত রাখ। যাতে আমরা খালি হাতে ফিরে না যাই, আমরা জানি তোমার ঘরে প্রচুর পরিমানে গহনাগাটি আছে। আর যদি সব কিছু ঠিকঠাক না পাই। তোমার ছেলে এবং নাতিকে দুনিয়া ছাড়া করবো এবং তোমার ছেলের বউকে আমরা সবাই মিলে গণধর্ষণ করবো তোমার সামনে, কথাটা যেন মনে থাকে সিরাজ মিয়া, আসসালামু আলাইকুম। ইতি, তোমাদের, লাল শাহ্ ডাকাত (লাল বাহিনীর প্রধান)।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।