শরীয়তপুর সদর উপজেলায় পাত্রপক্ষকে গোপন ভিডিও দেখিয়ে প্রেমিকার বিয়ে ভাঙতে গিয়েছিলেন সুলাইমান মুন্সী নামের এক যুবক। পরে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি। রোববার উপজেলার মধ্য চরসুন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পালং মডেল থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন।
অভিযুক্ত সুলাইমান মুন্সী শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ গ্রামের মোতালেব মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুলাইমান তার বিয়ের তথ্য গোপন করে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা একান্ত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। কিন্তু মেয়েটি পরে জানতে পারেন যে সুলাইমান বিবাহিত এবং সন্তানের জনক। এতে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অন্যত্র বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের দিন সকালেই সুলাইমান পাত্রপক্ষকে গোপন ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে বিয়ে ভাঙানোর চেষ্টা চালান। পরে তিনি সরাসরি মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করেন।
এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে গাছে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, সুলাইমান আমাকে ব্ল্যাকমেল করে ছবি দেখিয়ে অনেকবার টাকা নিয়েছে। আমি তার প্রতারণার শিকার। প্রায় এক লাখ টাকার মতো সে হাতিয়ে নিয়েছে।
ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করেছে এ লোক। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, অভিযুক্তকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।