Tuesday, July 8, 2025

অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচার দোয়া

আরও পড়ুন

আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতের মধ্যে একটি হলো বৃষ্টি। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তিনিই আল্লাহ, যিনি আসমান-জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং আকাশ থেকে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে তোমাদের জীবিকার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলমূল উৎপন্ন করেন।’ তবে অতি বৃষ্টির ফলে বন্যা, ভূমিধস, পাহাড়ধসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। তাই অতি বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত।

অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচার দোয়া

হযরত আনাস (রা.) বলেন, একবার জুমার দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন এক সাহাবি মসজিদে ঢুকে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, (অনাবৃষ্টির কারণে) জীবজন্তু মরে গেছে। পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলার কাছে আমাদের জন্য বৃষ্টির দোয়া করুন।’ তখন রাসুল (সা.) দুই হাত উঠিয়ে দোয়া করতে শুরু করেন, 

আরও পড়ুনঃ  উপকূল পাড়ি দিচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, বন্যা হতে পারে যে ৬ জেলায়

‘আল্লাহুম্মাসকিনা, আল্লাহুম্মাসকিনা, আল্লাহুম্মাসকিনা।’ 

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দান করুন। হে আল্লাহ, আমাদের বৃষ্টি দান করুন।’ 

আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! তখন আকাশে বিন্দুমাত্র মেঘের ছোঁয়াও ছিল না, রাসুলের (সা.) দোয়ার পর আকাশে মেঘের উদয় হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো আকাশ মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর মুষলধারে বৃষ্টি আরম্ভ হয়।

বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর কসম! পরের ছয় দিন আমরা সূর্য দেখিনি। পরের জুমায় ফের ওই ব্যক্তি যখন মসজিদে প্রবেশ করেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তি আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ধনসম্পদ সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পানিতে পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে, আল্লাহর কাছে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার দোয়া করুন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই হাত উঁচিয়ে দোয়া করলেন, 

আরও পড়ুনঃ  ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কি.মি. গতিবেগে ধেয়ে আসছে নিম্নচাপ, যা জানা গেল

‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আ-কাম ওয়াজ জিরাব ওয়া বুতুনিল আওদিআ; ওয়া মানাবিতিস শাজার।’ 

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের ওপরে নয়। হে আল্লাহ, পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং গাছ-উদ্ভিদ গজানোর স্থানগুলোয় বৃষ্টি দিন।’

আনাস (রা.) বলেন, তখনই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়, এরপর আমরা নামাজ শেষে রোদের মধ্যে বের হই। (বুখারি: ১০১৩)

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ