বিশ্বমানের প্রযুক্তি, উন্নত গবেষণা সুবিধা এবং নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য জাপান আজ সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীদের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশের প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার শিক্ষার্থী জাপানে পড়াশোনা করছেন।
কেন যাবেন জাপান—
*উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা পরিবেশ;
*নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ব্যবস্থা;
*বিশ্বসেরা গণপরিবহন ও স্বাস্থ্যসেবা;
*তুলনামূলকভাবে কম খরচে মানসম্মত জীবনযাপন;
*প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ক্যাম্পাস ও সুযোগ-সুবিধা;
জাপানের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—
*তোহকু বিশ্ববিদ্যালয়;
*টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়;
*ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়;
*টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি;
*কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়;
*কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়;
*হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়;
*নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়;
*সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়;
*ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ইউনিভার্সিটি;
আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: সাশ্রয়ী খরচ ও সহজে ভিসা সুবিধা প্রাপ্তিতে আদর্শ ৮ দেশ
প্রয়োজনীয় পরীক্ষা—
জাপানে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এক্সামিনেশন ফর জাপানিজ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট-ইজেইউ, জাপানি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা-জেএলপিটি, ইউনিফাইড/কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স পরীক্ষাসহ কয়েকটি পরীক্ষার মধ্যে একটি দিতে হয়।
১. ইজেইউ পরীক্ষা
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে অধ্যয়ন করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ‘এক্সামিনেশন ফর জাপানিজ ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট-ইজেইউ’ পরীক্ষা দিতে হয়। এটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েটে অধ্যয়নের অন্যতম একটি পরীক্ষার পদ্ধতি। বিজ্ঞানের প্রাথমিক অ্যাকাডেমিক জ্ঞান, জাপান, বিশ্ব এবং গণিতের জ্ঞান পরিমাপের জন্য এ পরীক্ষা দিতে হয়। এ পরীক্ষা বছরে দুবার হয়। পরীক্ষায় পাওয়া স্কোরের মেয়াদ থাকে দুই বছর।
জাপানের মোট ৪৭৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ পড়তে চাইলে আবেদনের ইজেইউ স্কোর জমা দিতে বলে। প্রতিবছর জুন ও নভেম্বরে এ পরীক্ষা হয়। ভারতের নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২. জেএলপিটি পরীক্ষা
জেএলপিটি দেশটিতে ভর্তির জন্য আবেদনকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের জাপানি ভাষার দক্ষতা পরিমাপের একটি পরীক্ষা। জাপানি ভাষার অক্ষর, শব্দভান্ডার ও ব্যাকরণ সম্পর্কে আবেদনকারী কতটা জানেন এবং এ ভাষায় যোগাযোগের জ্ঞান তাদের কতটা, সেটা যাচাই করা হয় এ পরীক্ষায়। এ পরীক্ষা প্রতিবছরের জুলাই ও ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। জাপান ছাড়াও পরীক্ষাটি বিশ্বের ৯৬টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়।
৩. ইউনিফাইড/কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স পরীক্ষা
এ পরীক্ষা জাপানি শিক্ষার্থীদের জন্য। স্নাতক স্তরে দেশটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষা দিতে হয়। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষা দিতে হয় না। কিন্তু কিছু প্রোগ্রামে প্রধানত মেডিকেল ও ডেন্টাল কোর্সে ভর্তির জন্য এটির প্রয়োজন হতে পারে।
৪. ইংরেজিতে দক্ষতার পরীক্ষা
বেশির ভাগ জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের টোয়েফল, আইইএলটিএস, টোইক বা আইকেনের স্কোর জমা দিতে হতে পারে।
দরকারি পরামর্শ—
*ভর্তির প্রস্তুতি শুরু করার আগেই, পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট প্রোগ্রামে ভর্তির যোগ্যতা, প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসমূহ এবং আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে সময়মতো সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়।
*এ ছাড়াও, ইজেইউ ও জেএলপিটি পরীক্ষার ভালো স্কোর শুধু ভর্তির ক্ষেত্রেই নয়, অনেক সময় স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত সুবিধা এনে দেয়। তাই এগুলোর প্রস্তুতিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।