দেশীয় অনলাইন প্লাটফর্মগুলোয় উল্লেখযোগ্য হারে ডিজিটাল মার্কেট না থাকায় রীতিমতো একচেটিয়া ব্যবসা করছে দারাজ। ক্রমাগত যেমন স্বেচ্ছাচারিতার সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে ই-কমার্স ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি, তেমনি যুব সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহার করার নানা রকম পণ্যসামগ্রী। বছরের পর বছর ধরে ভোক্তাদের নিম্নমানের পণ্য প্রদানসহ, অর্থ পাচার,কর ফাঁকি এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। তবে এবার যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এবং উদ্বেগজনক।
সাম্প্রতিক সময়ে দারাজের এপ্লিকেশনে (অ্যাপ) অহরহ দেখা যাচ্ছে বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ পণ্য। এসব পণ্য বিক্রয়ের জন্য দেওয়া হচ্ছে চটকদার সব বিজ্ঞাপন। প্রতিষ্ঠানটি বেশ কিছুদিন ধরেই এগুলো বাজারজাত করছে এবং যুবসমাজের মধ্যে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে দিচ্ছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপে ব্যবহার করা বিকৃত যৌনাচারের পণ্যগুলো। প্রতিষ্ঠানটির এমন কার্যক্রমে অনেকটা বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নেটিজেনরা। তাদের দাবি প্রতিষ্ঠানটির এমন কার্যকলাপ বন্ধ না হলে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা। এ বিষয়ে শওকত হোসেন জামিল নামে একজন স্যোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, দারাজ সমাজে ফিতনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। সরকারের অতিদ্রুত প্রতিষ্ঠানটির এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিপ্লব হোসেন সরকার নামে একজন লিখেছেন,দারাজকে অবশ্যই বয়কট করা উচিত। আতোয়ার লিখেছেন,দারাজকে না বলুন।
প্রসঙ্গত, অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটার মাধ্যম দারাজে পণ্য কিনে গ্রাহক হয়রানির ইতিহাস নতুন কিছু নয়। এক পণ্য অর্ডার করলে আরেক পণ্য ডেলিভারি দেওয়া। কখনো গ্রাহকের পছন্দের নির্ধারিত রঙের পণ্য না দিয়ে অন্য রঙের দিয়ে দেওয়া নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে কিছুদিন পর পরেই। এসব বিষয় জানিয়ে অভিযোগ করলে টাকা ফেরত দেওয়া হলেও সেখানে রয়েছে পদে পদে ভোগান্তি যা দেখার নেই কেউ।
অপ্রাপ্তবয়স্ক ও টিনেজাররা দারাজ ব্যবহার করে থাকে। তাদের সামনে এসব পণ্যের চটকদার বিজ্ঞাপন আসার কারণে অপ্রাপ্তবয়সেই তারা বিপথে নাপিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা।