গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টায় পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শতাধিক মানুষের সামনে ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা দেখা হয়।
এ ঘটনায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছে তার পরিবার। ইতোমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিন (২২)। আজ শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় পুলিশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামি তারেক রহমান রবিনের হেফাজত হতে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
গত ৯ জুলাই (বুধবার) বিকেল ৬ টার দিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব কর্তৃক আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।