Friday, July 18, 2025

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে বিক্ষোভ

আরও পড়ুন

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে পরাজিত প্রার্থীরা। শনিবার (১২জুলাই) রাতে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

মিছিলে সদর উপজেলা পশ্চিম বিএনপির উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি প্রার্থী মো. কিরন প্রকাশ হিরন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বেল্লাল হোসেনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন, এটি বিএনপি তথা তারেক রহমানের চমৎকার উদ্যোগ। কিন্তু গুটিকয়েক নেতার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে উদ্যোগটি ভেস্তে গেল। ভোট গণনায় আমি ২ ভোটে জয়লাভ করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে ইউনিয়ন নেতাদের যোগসাজশে আমাকে ৭২ ও পরাজিত প্রার্থী আবুল খায়েরকে ৭৫ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করে।

আরও পড়ুনঃ  পুলিশ-নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সংঘর্ষ, গোপালগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু

সভাপতি পদপ্রার্থী মো. কিরন প্রকাশ হিরন বলেন, গত ১৬ জুন আমাদের বিজয় দেখে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। এরপর শুক্রবার ভোট হয়। আমি ১১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলাম। পুনরায় ভোট গণনার নামে আমার এজেন্টদের বের করে দেয় নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। তখন আমার ৬টি ভোট বাতিল দেখিয়েছেন। অথচ প্রথম গণনায় অর্থ্যাৎ সকলের উপস্থিতিতে কোনো ভোট বাতিল হয়নি। এরপর মাহফুজুর রহমানকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে বিক্ষোভ করেছি। উপজেলা ও জেলা নেতৃবৃন্দ এবং আবুল খায়ের ভূঁইয়াকে বিষয়টি জানাবো। আমাদের বিশ্বাস ওনারা কমিটি ভেঙে দিয়ে পুনরায় নির্বাচন দিবে।

আরও পড়ুনঃ  আ.লীগ কার্যালয়ের উপর হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’

অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা (পশ্চিম) বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টু বলেন, ভোটে কোনো অনিয়ম করা সুযোগ নেই। নির্বাচনে হেরে গিয়ে তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এতে করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আর আমরা কেন ব্যালট পেপারে ডাবল সিল মারবো। এগুলো মিথ্যা অভিযোগ।

উল্লেখ্য: দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা ও ভোটদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। গত ১৬ জুন উত্তর হামছাদীর ৭ নং ওয়ার্ডে ভোট হয়। তবে কেন্দ্রে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্টরা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার (১১ জুলাই) পুনরায় ভোটগ্রহণ হয়।

আরও পড়ুনঃ  গুলিতে মৃত্যুর পরও কাটা হয় রগ

ভোট শেষে প্রথমবার গণনায় সভাপতি পদে মো. কিরন প্রকাশ হিরন পায় ১১৭ ভোট। তার প্রতিদ্বন্ধী মাহফুজুর রহমান পায় ১১৫ ভেট। সাধারণ সম্পাদক পদে বেল্লাল হোসেন ৭৬ ভোট ও প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আবুল খায়ের পেয়েছিলো ৭৪ ভোট। এছাড়া মো. হারুন ৪০ ও আলমগির হোসেন ৩৯ ভোট পায়। ফলাফলটি মাহফুজ ও খায়েরের অনুসারীরা মেনে নেয়নি। তারা ভোট কেন্দ্রে হট্টগোল করার চেষ্টা করেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ