জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সেনা সদস্য সেজে বিয়ের পাত্রী দেখতে এসে ধরা পড়া সেই ভুয়া সেনা সদস্য ও তার সহযোগীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
তারা দুজন হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিনাথপুর বিষপুকুর গ্রামের মনতাজ উদ্দিনের ছেলে সদরুল ইসলাম (৪১) ও একই গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ভুয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সাতিনালী গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সোহেলের মেয়ের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন সদরুল ইসলাম। তিন দিন শ্বশুরবাড়িতে থেকে ছুটি শেষে ‘সেনা ক্যাম্পে’ ফেরার কথা বলে নগদ আড়াই লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ক্ষেতলালের হোপ গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পুনরায় প্রতারণার চেষ্টা চালান সদরুল ও তার সহযোগী। স্থানীয় ঘটক আমিরুল ইসলাম পূর্বপরিচয়ের ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। বৃহস্পতিবার তারা পাত্রী দেখার কথা বলে পাঠানপাড়া বাজারে এলে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় এভাবে আরও ৩৬টি বিয়ে করেছেন।
ক্ষেতলাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রতারক সদরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার থানায় এসে অভিযোগ করেছেন।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে দুজনকেই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।