রাজবাড়ীর পাংশায় সারা জীবন দেখাশোনা করার কথা বলে সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে মারধরের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একমাত্র পুত্র ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। বুধবার (২৩ জুলাই) ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীর নাম মোছা. ফিরোজা খন্দকার (৬৫)। তিনি পাংশা পৌর শহরের মাগুরাডাঙ্গী গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিন খন্দকারের স্ত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন—তার ছেলে মো. খন্দকার ফজলে রাবিব সাগর (৪২) ও ছেলের স্ত্রী মোছা. মুন্নি খন্দকার (২৭)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফিরোজা খন্দকারের ছেলে ও ছেলের স্ত্রী গত ১৮ মাস আগে তার নিজ নামে থাকা বাড়ি ও জমি লিখে নেয়। এরপর তিনি কিছুদিন বাড়িতে থাকার পর বাকি সময়টা নিজের মেয়ে ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। গত ২৩ জুলাই সকালে তিনি বাড়িতে ফিরলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালা ও মারধর করার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা।
পরবর্তীতে একই দিনে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগীর মেয়ে দীনা খন্দকার বলেন, ‘আমার ভাই কৌশলে আমাদের বাড়ির সম্পত্তি লিখে নিয়ে আমার মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির করে মাকে পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি মামলাও হয়েছে।
সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। আমি চাই আমার মা বাড়িতে ফিরে বসবাস করুক।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. খন্দকার ফজলে রাবিব সাগরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে পাওয়া যায়নি।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।