Monday, August 4, 2025

নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করল এশিয়ার আরও এক দেশ

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যাপারে কম-বেশি সবারই জানা। বেশ কয়েকবার নিজের এ আকাঙ্ক্ষার কথা অকপটে জাহিরও করেছেন তিনি। এর জন্য বেশ সমালোচনা ও হাসি-ঠাট্টাও হয় তাকে নিয়ে। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টির জন্য অনেকেই দায়ী করেন তাকে।  

অবশ্য, সম্প্রতি ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাবের কথা ফলাও করে প্রচার করেছে পাকিস্তান। এবার জানা গেল, এ পুরস্কারের জন্য তার নাম প্রস্তাব করেছে এশিয়ার আরেক দেশ কম্বোডিয়া।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী সান চানথোল সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে আসার পর বিশ্বজুড়ে শান্তি স্থাপনে বিশেষ অবদান রাখায় চলতি বছরের নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চানথোল। 

গত শুক্রবার (১ আগস্ট) কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপপ্রধানমন্ত্রী সান চানথোল থাইল্যান্ডের সঙ্গে তার দেশের সাম্প্রতিক সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের ভূমিকা স্মরণ করে বলেন, মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আহ্বান এবং তৎপরতার কারণেই গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে। তিনি নোবেলের জন্য মনোনীত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশে ‘এক কিডনির গ্রাম’, দালাল চক্রের ফাঁদে নিঃস্ব দরিদ্র মানুষ

এর আগে, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে সংঘাত বেঁধেছিল দক্ষিণ এশিয়ার দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সেই সংঘাত বন্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ট্রাম্প। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহ পর হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজের পর দেশে ফিরে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় ১৩ জনের প্রাণহানি, ২৩ শিশু নিখোঁজ

এরপর জুলাই মাসে ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

সম্প্রতি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হওয়ার পর আব্রাহাম অ্যাকর্ড অনুসরণ, আফ্রিকা ও মাধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা হ্রাসসহ শান্তি স্থাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উদ্যোগে আমি ভূমিকা রেখেছি। আমি জানি যে এসব ভূমিকার জন্য আমি নোবেল পুরস্কার পাবো না— কিন্তু মানুষ দেখছে যে আমি কী কী করেছি এবং করছি। আমার কাছে এটাই সব।

বিজয়ী নির্ধারণে যেভাবে কাজ করে নোবেল কমিটি

বিশ্বের সবচেয়ে সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্বে থাকে নরওয়ের নোবেল কমিটি। এই কমিটির প্রার্থী বাছাইয়ের পুরো প্রক্রিয়াটিই হয় গোপনে। বিভিন্ন দেশের আইনজীবী, অধ্যাপক, সাবেক পুরস্কারজয়ী, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্ত, জাতীয় পার্লামেন্ট সদস্য, আন্তর্জাতিক সংস্থার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নোবেল পুরস্কারের জন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নাম মনোনীত করে নোবেল কমিটির কাছে পাঠান। প্রার্থী হিসেবে নোবেল কমিটির কাছে নিজের নাম প্রস্তাব করা নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ  ভারত সমর্থিত ৩০ সন্ত্রাসী নিহত

প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে নোবেল কমিটি সেসব মনোনয়ন নরওয়ের পার্লামেন্ট বরাবর পাঠিয়ে দেয়। সেখানে পার্লামেন্টের ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি প্রাথমিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর ও যাচাই-বাছাই শেষে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা বা শর্টলিস্ট তৈরি করে। সেই শর্টলিস্টের ওপর নরওয়ের পার্লামেন্টে গণভোট হয়। এভাবেই নির্ধারিত হয় চূড়ান্ত বিজয়ী প্রার্থীদের তালিকা।

প্রতি বছর অক্টোবর মাসে সেই বছরের নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়; আর পুরস্কার প্রদান করা হয় ১০ ডিসেম্বর।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ