ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমদের ছবি টাঙিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে অপদস্থ করেছে মন্তব্য করে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে নাছির লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ভিত্তি রচিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলন করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আজ ছাত্রশিবির স্বাধীনতাবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার উস্কানিদাতা নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমসহ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের ছবি টাঙিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে অপদস্থ করেছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি লিখেছেন, ‘ইসলামি ছাত্রশিবির হচ্ছে একাত্তরের গণহত্যাকারী ছাত্রসংঘ ও আল-বদর বাহিনীর উত্তরসূরী। অতীতে
শিবির একজন আলবদর কমান্ডারকে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। তাদের দলীয় প্রকাশনাতেও তারা স্বাধীনতাবিরোধী, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ছাপিয়েছে।’
ছাত্রদলের এই নেতা আরও লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টর মহোদয়, শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের প্রশ্রয় পেয়ে তারা টিএসসিতে এতবড় জঘন্য কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে। দেশের সকল নাগরিকের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি-প্রক্টর এড়াতে পারেন না।
নাছির লিখেছেন, এছাড়াও তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছাসহ নানাবিধ ঘটনায় ভিসি ও প্রক্টরের অদক্ষতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং মব ও গুপ্ত সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা প্রমাণিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে হতাশ এবং বিক্ষুব্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সংগঠনের কর্মসূচির জন্য প্রক্টরের অনুমতি গ্রহণ করতে হয়। পুরো কর্মসূচির বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে প্রক্টর অনুমতি প্রদান করেন। আজকের ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে প্রক্টরের অনুমতি, সম্মতি এবং পৃষ্ঠপোষকতায় শিবির টিএসসিতে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আল বদর বাহিনীর ছবি টাঙিয়েছে। প্রক্টরকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।