মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ইউএনও ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে মামলাও হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দল থেকে তাকে দেওয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর নোটিস। গত বৃহস্পতিবার এই নোটিস দেওয়া হয়।
নোটিস পাওয়া বিএনপির ওই নেতা হলেন উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হেলাল মিয়া। জানা যায়, তিনি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদকও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে অবৈধভাবে জাল দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ করে দিতে ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ’ করার নামে জেলেদের কাছ থেকে ২ লাখ ৮২ হাজার টাকা চাঁদা তোলেন বিএনপির এক নেতা। বিষয়টি ভুয়া বুঝতে পেরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জেলেরা। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—হেলাল মিয়া ও খান জামালসহ অজ্ঞাত আরো দুই থেকে তিনজন।
মামলা হওয়ার পর হেলাল উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও বার্তা দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আমি রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। আমি এ বিষয়ে মানহানির মামলা করব।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, মৎস্যজীবীদের এই অভিযোগ পাওয়ার আগেই আমরা ঘটনাটি জানতে পারি এবং হেলাল মিয়া এবং খান জামালের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুই থেকে তিনজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
জুড়ী থানার ওসি মো. মোরশেদুল হক ভূঁইয়া জানান, মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
দলের নোটিস
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে অর্থ দাবি করার অভিযোগে গত মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার জুড়ী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মোস্তাকিম হোসেন বাবুল ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাছুম রেজা হেলাল মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেন। উপজেলা বিএনপি জানিয়েছে, হেলাল মিয়ার ব্যাখ্যা পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।