পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা নাইমুর রহমান রিদম।
অভিযুক্ত রিদম বাগছাসের ঢাবি শাখার ক্রীড়া সেলের সহ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই চতুর্থ সেমিস্টারের ২০৬ নম্বর কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় নকল করার সময় তাকে পরিদর্শক হাতেনাতে ধরেন। তার সহপাঠীরা জানান, রিদম মোবাইল ব্যবহার করে উত্তর লিখছিলেন। এসময় পরিদর্শক তার কাছ থেকে মোবাইল ও উত্তরপত্র জব্দ করেন।
জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. যোবায়ের এহসানুল হক বলেন, ‘নকলের ঘটনা ধরে পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়েছে। আমি নকলের বিষয়ে শুনেছি এবং তিনজনে বিরুদ্ধে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে। প্রক্টরের নেতৃত্বে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের শৃঙ্খলা কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্র জানায়, নকলের প্রমাণ পাওয়ায় শৃঙ্খলা কমিটি মোবাইল ও খাতা জব্দ করেছে। এ ধরনের অপরাধে সাধারণত পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা শেষে তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের শাস্তির ঘোষণা আসতে পারে।
জানতে চাইলে বাগছাসের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমি অবগত নই। ঘটনাটি যদি সত্য হয় তাহলে এটি অবশ্যই শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. হিমাদ্রি শেখর চক্রবর্তী জানান, রিদমের খাতা বাজেয়াপ্তের বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠন করা বোর্ড তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
খাতা বাজেয়াপ্তের বিষয়ে জানতে চাইলে রিদম ঢাকা পোস্টের কাছে দাবি করেন, খাতা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তবে ফোন ব্যবহার করে নকলের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, স্যার সন্দেহ করেছিলেন আমি নকল করেছি। তিনি আমার খাতা নিয়ে কিছুক্ষণ আটকে রাখেন, এরপর আবার ফিরিয়ে দেন।