বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গোলচত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আটক সরোয়ার হাওলাদার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা। বক্তৃতা শেষে ভুলে মুখ ফসকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠকরা দাবি করে বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার দাবিতে তাদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচিকে বিতর্কিত করতে ওই ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগ এবং দাবির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির হোসেন সিকদার।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন সোহাগ বলেন, তাদের আন্দোলন চলাকালে সরোয়ার হাওলাদার নামের ওই ব্যক্তি সংহতি প্রকাশ করতে আসেন। তিনি দাবি করেছেন, সে তার মাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করিয়েছেন। সেখানেও তিনি চিকিৎসক-নার্সদের অবহেলা এবং হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ কারণে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দিতে চান।
তিনি আরও বলেন, সরোয়ার নামের ব্যক্তিকে তার ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য বক্তব্য দিতে সুযোগ করে দেওয়া হয়। তিনি আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্যের শেষে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ক্ষুব্ধ হয়। যাতে কোনো মব সৃষ্টি না হয় সে জন্য সরোয়ার হাওলাদারকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এ নেতা দাবি করেন, কিছুদিন ধরেই তাদের চলমান স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার আন্দোলন বানচালের চেষ্টা করছে একটি সিন্ডিকেট। দুদিন আগে একটি দলের লোকজন আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাও করেছে। এরপর আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ঘটনা ঘটল। আমাদের ধারণা, আন্দোলন বিতর্কিত করতেই ওই ব্যক্তি এ কাজ করেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির হোসেন সিকদার বলেন, সরোয়ার হাওলাদার নামের ব্যক্তিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার বিষয়ে তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।