জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা। বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে তাকে জেলাটিতে অবাঞ্ছিত করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও ফজলুর রহমান বর্তমানে বিএনপির হয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। অথচ তার ভাষা ও বক্তব্য আওয়ামী লীগের বয়ানকেই প্রতিফলিত করছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতাদের সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘যে মুজিববাদকে আমরা উপড়ে ফেলেছি, সেই মুজিববাদের সৈনিক এখন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিচয়ে বিএনপিতে সক্রিয়। তিনি শহীদদের অবমাননা, আহতদের তিরস্কার এবং অভ্যুত্থানের নেতাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী বয়ান ছড়াচ্ছেন। অবিলম্বে এই মুখোশধারী মুজিববাদীকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করে দলকে দায়মুক্ত করা উচিত।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘গত রোববার একটি অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ফজলুর রহমান। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, এ জন্য তাঁর প্রতি সম্মান দেখিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। ফজলুর রহমান নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কিশোরগঞ্জের ছাত্র-জনতা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে, কঠোর আন্দোলন হবে।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইকরাম হোসেন বলেন, ‘বিপ্লবের এক বছরের মাথায় বিপ্লবীদের বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায়, তখন আমাদের পুলিশ হত্যা মামলাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের আওয়ামী ন্যারেটিভ মামলায় ফাঁসানো হবে বলে ধারণা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সদস্যসচিব ফয়সাল প্রিন্স, যুগ্ম আহ্বায়ক রাতুল নাহিদ ভূইয়া, আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন প্রমুখ।