বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে জুলাই আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
এ মামলায় শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মহানগর হাকিম ইসরাত জেনিফার জেরিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সায়েন্সল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ মো. আরিফুল ইসলামের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে আজিজুরকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান আজিজুরকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী গণমাধ্যমকে বলেন, ৩২ নম্বরে ফুল দিতে এসে ‘মব ভায়োলেন্স’-এর শিকার হতে হয়েছে এই রিকশাচালককে। এখন তাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধানমন্ডিতে মারধরের পর পুলিশের কাছে তুলে দেয়ার আগে আজিজুর বলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।’
আরিফুল হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর নিউ মার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাব এলাকার মিছিলের সঙ্গে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী মো. আরিফুল ইসলাম। ঘটনার দিন দুপুর ২টার দিকে আসামিরা গুলি, পেট্রোল বোমা ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। গুলিবিদ্ধ হন আরিফুল ইসলাম। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে দুই মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হন।
পরে এ ঘটনায় গত ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন তিনি।