যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দুইটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দুই দেশে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। একটি যুক্তরাষ্ট্রে, অন্যটি মালয়েশিয়ায়। উভয় ক্ষেত্রেই পাইলটরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। বিধ্বস্ত হওয়া দুটি যুদ্ধবিমানই এফ/এ-১৮ সিরিজের।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট ভার্জিনিয়া উপকূলে বিধ্বস্ত হয়। নৌবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জ্যাকি পরাশর জানান, স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রন ৮৩-এর নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের সময় বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইজেক্ট করেন এবং পরে উদ্ধারকর্মীরা তাকে সমুদ্র থেকে নিরাপদে বের করে আনেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ৬৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের যুদ্ধবিমান সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার পর নৌবাহিনীর পাইলটকে উদ্ধার করা হয়। প্রায় ৯০ মিনিট পরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের পর জীবিত উদ্ধার হন তিনি।
তবে যুদ্ধবিমানটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত ১০ মাসে এটি মার্কিন নৌবাহিনীর ষষ্ঠ এফ-১৮ মডেলের বিমান হারানোর ঘটনা। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ৫৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি সুপার হর্নেট ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান থেকে ছিটকে পড়ে এবং ডুবে যায়।
এদিকে মালয়েশিয়ার পাহাং প্রদেশের কুয়ানতান বিমানঘাঁটিতে একটি এফ/এ-১৮ডি হর্নেট বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টা ৫ মিনিটে উড্ডয়নের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়ে রানওয়েতে ভেঙে পড়ে।
দুর্ঘটনার আগেই বিমানের দুই পাইলট সিট ইজেক্ট করে প্রাণে রক্ষা পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মতো শোনা গিয়েছিল এবং এক মাইল দূর থেকেও এর শব্দ শোনা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, আহত দুই পাইলটকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রয়্যাল মালয়েশিয়ান এয়ারফোর্স জানায়, তাদের বহরে বর্তমানে ১৯৯৭ সালে যুক্ত হওয়া আটটি এফ/এ-১৮ডি হর্নেট রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর এলাকায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।
সূত্র: নিইউর্ক পোস্ট, স্ট্রেইট টাইমস