ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভিপি প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ২৬ নম্বর ব্যালট। আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) প্রকাশিত ভিপি প্রার্থীর তালিকায় নম্বরে থাকা প্রার্থীর নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। সূত্রের তথ্য, ওই নাম্বরটি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সিজারের; যার বিরুদ্ধে ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ২৪ থেকে ৩৯ নম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, ২৫ নম্বরে ভিপি পদপ্রার্থী মো. উজ্জল হোসেনের নাম রয়েছে, আর ২৭ নম্বরে রয়েছে মো. নাইম হাসানের নাম; মাঝখানে উধাও ২৬ নম্বর। এখানেই জুলিয়াস সিজারের নাম ছিল।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এ অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। জুলিয়াস সিজারের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিলে সেটি ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে তদন্ত করে। তদন্তে জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও শিক্ষার্থী নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়।
যার প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল জুলিয়াস সিজারের প্রার্থীতা বাতিলের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সুপারিশ করে। যেহেতু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা নিতে পারেন না, তাই তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপনের জন্য বিষয়টি প্রেরণ করে। বিচারাধীন থাকায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে জুলিয়াস সিজারের নামটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার সিন্ডিকেট তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, এ বছর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়ার সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন। এছাড়াও গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন প্রার্থী।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে। এবার মোট ২১৭ জন প্রার্থী সদস্য পদে লড়বেন। সব মিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।