বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা ৩ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে শাহবাগে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধ করে দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালন করছিলেন।
ঘটনার পর পুলিশের ব্যবহারের কড়া সমালোচনা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আবরার ফাইয়াজ। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘হাসিনা গেল, কিন্তু হাসিনার পুলিশ আর গেল না।’
আবরার ফাইয়াজ তার পোস্টে বলেন, ‘মিন্টো রোডের সামনে আসার পরে কোনো ব্যারিকেড নেই, পুলিশ নেইই। রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলছে।
আমরা কয়েকজন মিলে থামালাম সবাইকে। ছবির ভদ্রলোক (ডিসি মাসুদ আলম) এসে ২০ ব্যাচের এক ভাইয়ের গলা চেপে ধরলেন। বেশ কয়েকজনকে ঘুষি-লাথি দিলেন পেছন থেকে এসে। আমাদের আজকের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ছিলো ঢাকার বাইরের। দেখে খেপে গিয়ে তারা মিন্টো রোডে ঢুকল।’
তিনি বলেন, আমি নিজে তারপরে সামনে গিয়ে থামালাম কয়েকজন ভাইকে নিয়ে। এর মিনিটখানেক পর দেখি হঠাৎ পায়ের নিচে সাউন্ড গ্রেনেড আর লাঠিচার্জ শুরু। আমি পেছনে ঘুরে সবাইকে আটকে রেখেছি। আর হঠাৎ পুলিশ এসে লাঠিচার্জ।
এরপরে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে গেল। যমুনার কোনো এক সিকিউরিটি ইনচার্জ এসে বললেন, ‘বাবা, তুমি ওদের পেছাতে বলো একটু গিয়ে। আমি কিছু কথা বলে বললাম, আপনারা টিয়ারশেল বা সাউন্ড গ্রেনেড আর মাইরেন না, আমরা পেছাচ্ছি। অথচ শিক্ষার্থীরা যাওয়ার আগেই টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ব্যবহার করল। যাকেই একা পেয়েছে, ধরে পেটায়ছে। একজনের মেরুদণ্ডে স্প্রিন্টার ঢুকে গেছে।
আবরার ফাইয়াজ আরো বলেন, ‘ছাত্রদের ওপর হামলার পর যদি ম্যাও ম্যাও করে সবাই পালাইতো তাহলে আজ হাসিনার সরকারই থাকত। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ছাত্ররা আগে হামলা করেছে এর সত্যতা জুলাইয়ে ২০০০ পুলিশ নিহত হওয়া থেকে বিন্দুমাত্র বেশি নয়। হাসিনা গেল, কিন্তু হাসিনার পুলিশ আর গেল না।’