চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ফের সংঘর্ষ চলছে। টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সহিংসতায় এখনো পর্যন্ত ঘটনাস্থলে কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করতে গেলে তারা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী মডেল থানা এবং আট কিলোমিটার দূরে সেনানিবাস থাকলেও এখনো পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিন দিক থেকে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রক্টরসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে স্থানীয়দের বাড়িঘরের দিকে পাথর ছুঁড়তেও দেখা যায়। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এ ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে। অভিযোগ রয়েছে, মসজিদের মাইক ব্যবহার করে স্থানীয়দের উসকে দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট এলাকায় হওয়া এই ঘটনায় বহু শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
এর পর থেকে রোববার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আহতদের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে।