বিএনপিসহ তিনটি রাজনৈতিক দলকে আজ (৩১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ডেকেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকি দল দুটি হলো- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এরমধ্যে প্রথমে জামায়াতের সঙ্গে বিকালে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে সন্ধ্যায় এনসিপি ও সবশেষে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
রোববার সন্ধ্যার পর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জানালেন, পূর্বঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে— এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতেই প্রধান উপদেষ্টা ডেকেছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, উনি আমাদেরকে ডেকেছিলেন, শিওর করতে চেয়েছেন নির্বাচন সঠিক সময় হবে। তাই এ ব্যাপারে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরকে পেটানোর বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা গর্হিত কাজ। আমাদের মতামত আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি। এটা অত্যন্ত উদ্বেকজনক। গভীরভাবে এর তদন্ত করা দরকার। সেই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্তের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে বিলম্বিত করার লক্ষ্যে এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের যে শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে সে অনুযায়ী হবে, প্রধান উপদেষ্টা সেটিই নিশ্চিত করেছেন। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বিএনপির সঙ্গে একমত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার লন্ডনে বৈঠক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতার সঙ্গে কথা বলার। এটা তার নিজস্ব এখতিয়ার।