Monday, October 6, 2025

ঋণ করে মিনারুলের চল্লিশা নিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

আরও পড়ুন

ঋণের বোঝা টানতে না পেরে আত্মহত্যা করেন মিনারুল ইসলাম (৩৫)। এই মিনারুলের বাড়িতে এবার ঋণ করে চল্লিশা (ফয়তা) করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ধর্মীয় শিক্ষার অভাব বলে অভিহিত করেছেন জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ঋণের ভারে যিনি আত্মহত্যা করলেন, ঋণ করে তার চল্লিশা করা হলো। দীনি শিক্ষার অভাব এবং দীন সম্পর্কে অজ্ঞতা যে কতটা নির্মম হতে পারে, এই ঘটনা থেকে তা আমরা নতুন করে উপলব্ধি করলাম।

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নতুন বার্তা দিলেন: ভিপি সাদিক কায়েম

তিনি বলেন, ইসলাম অত্যন্ত যৌক্তিক ও প্রাকৃতিক ধর্ম। ইসলাম যতগুলো আর্থিক ইবাদত আবশ্যক করেছে, সবই সামর্থ্যবানদের জন্য। কিন্তু ইসলামের ভেতর চল্লিশা নামের যে কুসংস্কার আমরা ঢুকিয়েছি, অনেক এলাকায় সেটা সবার ওপর আবশ্যক। এমনকি ঋণ কিংবা জমি বিক্রি করে হলেও তা পালন করতে হয়।

তিনি বলেন, অন্যান্য দলিল-প্রমাণ একপাশে সরিয়ে রেখে শুধু এটুকু দেখেই চল্লিশার অযৌক্তিকতা ও অন্তঃসারশূন্যতা উপলব্ধি করা যায়।

আল্লাহ-প্রদত্ত বিধান আর মানুষের তৈরি নিয়মের মৌলিক পার্থক্য এখানেই।

আরও পড়ুনঃ  র‌্যাব পরিচয়ে প্রতারণার সময় শ্রমিক দল নেতাসহ গ্রেফতার ৩জন

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, লোকটি ঋণে জর্জরিত হয়ে মারা গেছেন। আর আজকাল সুদবিহীন ঋণ সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। অভিশপ্ত সুদ কীভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে দরিদ্রকে আরও নিঃস্ব বানাচ্ছে আর সুদি মহাজনদের বানাচ্ছে আরও বিত্তশালী, আলোচ্য ঘটনা তার একটি উদাহরণ।

ঋণের ছোবলে জীবনের ওপর কতটা অন্ধকার নামলে কোনো মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে—আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।

সবশেষে তিনি বলেন, এই জাতীয় ঘটনা দুদিন পরপর ঘটে আর আমাদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে বলে যায়, দীনের চর্চা এবং ইসলামী অনুশাসন ও মূল্যবোধ ছাড়া প্রকৃত সুখের ঠিকানা আমরা কোনোদিন খুঁজে পাব না।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ