Thursday, July 3, 2025

কুম্ভ মেলায় মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে গোপন তথ্য উঠে এসেছে বিবিসির অনুসন্ধানে

আরও পড়ুন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কুম্ভ মেলায় ‘ক্রাউড ক্রাশে’ (ভিড়ের চাপে পড়ে) যত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর কথা ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তার চাইতে বেশি পরিবারকে নীরবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে- এমন তথ্যই উঠে এসেছে বিবিসির হিন্দির অনুসন্ধানে।

সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা ৩৭ বলা হলেও বিবিসি আরও ২৬টি ঘটনার সন্ধান পেয়েছে যেখানে সংশ্লিষ্ট পরিবার নগদ অর্থে আংশিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। আরো ১৮টি মৃত্যুর ঘটনাও জানা গেছে যেখানে ক্ষতিপুরণ হিসাবে কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি।

গত ২৫শে মার্চ ভারতের উত্তর প্রদেশ (ইউপি) রাজ্য থেকে সাদা পোশাক পরা পুলিশের কর্মকর্তাদের একটি দল নগদ টাকার বান্ডিল নিয়ে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে পৌঁছায়

ওই প্রতিনিধি দল গোপালগঞ্জ শহরে গিয়ে ৬২ বছর বয়সী তারা দেবীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। তার ছেলে ধনঞ্জয় গোন্দের হাতে নগদ পাঁচ লক্ষ রূপি (৫,৭৫৮ ডলার; ৪,২৯১ পাউন্ড) তুলে দেয় তারা এবং তাকে একটি ভিডিও বিবৃতি রেকর্ড করতে বলে।

ওই ভিডিওতে নিজের পরিচয় দিয়ে মি. গোন্দ বলেছেন, ”আমার মা তারা দেবী এবং আমি কুম্ভ মেলায় পুণ্যস্নানে গিয়েছিলাম। আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ইউপি থেকে অফিসাররা এসে আমাদের পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছে। আমরা তা পেয়েছি।”

তিনি জানিয়েছেন, ২৯শে জানুয়ারি উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে ভিড়ের চাপে পড়ে তার মায়ের মৃত্যু হয়। উত্তর প্রদেশ সরকার এখনও ‘ক্রাউড ক্রাশ’-এর ঘটনায় ভুক্তভুগীদের সরকারি তালিকা প্রকাশ করেনি।

তারা দেবীর ছেলে জানিয়েছেন, পুলিশ তাকে বলেছিল তিনি যে অর্থ পেয়েছেন তা সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিহতদের পরিবারকে দেওয়া ২৫ লাখ টাকার প্রথম কিস্তি। মি. গোন্দ জানিয়েছেন, বাকি ২০ লক্ষ টাকা তিনি পাননি।

এদিকে, উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, তারা ৩৫ জন নিহতের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। (নিহত ৩৭ জনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা যায়নি। অন্যজনের বৈধ উত্তরাধিকারী নেই)।

এই ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশনের এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

বিবিসি অবশ্য আরও একটি পরিবারের সন্ধান পেয়েছে, যাদের হাতে ২৫ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩৫ জন ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণের অর্থ তাদের স্বজনদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ ছাড়া তারা দেবীসহ এমন ২৬টি ঘটনার সন্ধান পেয়েছে বিবিসি, যেখানে পুলিশ বাড়ি গিয়ে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কর্মকর্তারা কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য তার স্বাস্থ্যকে দায়ী করে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে নথিতে সই করিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ কেন সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক? ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের গল্প ফাঁস!

যদিও পরিবারের তরফে জোর দিয়ে বলা হয়েছিল যে তাদের আত্মীয়দের মৃত্যু ভিড়ের চাপে পড়ে হয়েছে। (সাধারণত প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত কুম্ভ চলাকালীন স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য উত্তর প্রদেশ সরকার ক্ষতিপূরণ দেয় না।)

পাশাপাশি, বিবিসি এমন ১৮ জনের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেছে যেখানে কোনো ক্ষতিপূরণই দেওয়া হয়নি (প্রসঙ্গত উল্লিখিত ওই একটি ঘটনা বাদে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে ভুক্তভুগীর বৈধ উত্তরাধিকারী নেই)।

গত ২৯শে জানুয়ারি প্রয়াগরাজে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ‘ক্রাউড ক্রাশের’ বা ভিড়ের চাপের মতো ঘটনার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছেন যে এমন একটিই ঘটনা ঘটেছে ‘সঙ্গম নোজের’ কাছে – যা তিনটি পবিত্র নদী, গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমস্থল।

কুম্ভের ঘটনাটি ঘটার কয়েক সপ্তাহ পর বিবিসি ভারতের ১১টি রাজ্যের এমন শতাধিক পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে, যাদের দাবি তাদের আত্মীয়স্বজনের মৃত্যু ওই দুর্ঘটনায় হয়েছে। যে সমস্ত মামলায় প্রমাণের অভাব রয়েছে তা বাদ দিয়ে শক্ত প্রমাণ আছে, এমন মোট ৮২টি মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছে বিবিসি।

কিছু পরিবার প্রমাণ হিসাবে নিজেদের কাছে ময়নাতদন্ত, মর্গ স্লিপ, মৃত্যুর সনদ বা ফটো এবং ভিডিও রেখেছে।

বিবিসি স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে সেসব তথ্য যাচাই করে দেখেছে। মৃতদেহগুলি কোথায় পাওয়া গিয়েছিল, তা শনাক্ত করতে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছে, সেই স্থানগুলির মানচিত্র তৈরি করেছে এবং তারপর ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে।

বিবিসি প্রতিটি ঘটনার সময়সীমা পুনর্নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। জেনেছে ভুক্তভোগীরা কখন পুণ্যস্নানের জন্য রওনা হয়েছিলেন।

পাশাপাশি ‘ক্রাউড ক্রাশ’-এর সময়, নিকটবর্তী ল্যান্ডমার্ক, স্নানের জায়গা থেকে দূরত্ব এবং তাৎক্ষণিক পরিণতি- এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখেছে।

এই বিশদ বিবরণগুলি থেকে একটি প্যাটার্নের বিষয়ে বোঝা গিয়েছে যেখান থেকে কোনও কোনও জায়গায় ‘ক্রাউড ক্রাশ’-এর ঘটনা ঘটেছিল। এখান থেকে চারটি স্থানকে চিহ্নিত করা হয়- সঙ্গম নোজ, ঝুসির দিকে থাকা সমুদ্রকুপ চৌরাহার অংশ, ঐরাবত মার্গ এবং কল্পবৃক্ষ গেটের কাছে মুক্তি মার্গ চৌরাহা।

ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২৫ লক্ষ টাকা যাদের দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর স্থান হিসাবে সঙ্গম নোজ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে প্রয়াগরাজের “ফোর্ট ক্যান্টন্যান্সের ৭ নম্বর ওয়ার্ড”-উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে যে সমস্ত পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা পেয়েছে, সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই “সেক্টর-২০ বা সেক্টর-২১, কুম্ভমেলা এলাকা, ঝুসি” উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিবারগুলির মধ্যে কারো কারো দাবি তাদের আত্মীয়দের মৃত্যু হয়েছিল সঙ্গম নোজের কাছে। সম্ভবত মর্মান্তিক ঘটনাকে বড় করে না দেখাতেই সার্টিফিকেটে ভুল করে ঝুসি উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ইরানের নতুন যুদ্ধ কমান্ডারের নাম জেনে গেছে মোসাদ

যে ১৮টি পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণই পায়নি, তাদের মধ্যে কোনো ‘কমন’ বিষয় আছে বা কোনো যোগসূত্রের কাজ করে এমন নয়।

উদাহরণস্বরূপ, একটি ক্রাশ লোকেশনে বিবিসি ছবি এবং মৃত্যুর পরে আনুষ্ঠানিকতার সময় জারি করা নম্বরগুলির মাধ্যমে পাঁচটি মৃতদেহ শনাক্ত করেছিল। এর মধ্যে নিহত তিনজনের পরিবার নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা পেলেও বাকি দু’জন কিছুই পাননি।

অন্য কিছু পরিবারের কাছে ঘটনার দিনের ছবি রয়েছে, যাতে তাদের আত্মীয়দের মৃতদেহ দেখা যাচ্ছে। তবে সরকারের তরফে এই সমস্ত মৃত্যুর ঘটনা মেনে নেওয়া হয়নি।

বিবিসির তরফে বারবার উত্তর প্রদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তথ্য বিভাগ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ইমেইল করা হয়েছিল। জেলাশাসকের দফতর থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়নি।

উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও সাড়া মেলেনি। প্রয়াগরাজের পুলিশ কমিশনার তরুণ গাবা এবং ‘মেলা অফিসার’ বিজয় কিরণ আনন্দ কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেছেন।

সঙ্গম নোজ ছাড়া অন্য জায়গায় ভিড়ের চাপে মৃত্যুর বিষয়ে বিবিসি প্রমাণ পেয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিয়ে এই বিষয়টি সরকারও মেনে নিয়েছে।

উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে ধর্মরাজ রাজভর তার স্ত্রী ও পুত্রবধূর মৃত্যুর জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে পেয়েছিলেন।

গত ২৯শে জানুয়ারি বিবিসির রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে দু’জনের মরদেহ নিয়ে বসে রয়েছে ওই পরিবার।

বাড়ি ফেরার পর মি. রাজভর সেই টাকার বান্ডিলগুলি দেখিয়ে বললেন, “সরকার ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু পুলিশ প্রত্যেককে মাত্র পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিয়ে চলে গিয়েছে।”

উত্তর প্রদেশ পুলিশ কয়েকশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে গিয়ে বিনোদ রুইদাসের পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছে।

তবে সব পরিবার কিন্তু এই টাকা গ্রহণ করেনি। বিহারে সুনয়না দেবীর আত্মীয়রা এই অর্থ নিতে অস্বীকার করেন। বিবিসিকে বলেছেন তারা “ভুয়ো নথিতে স্বাক্ষর করতে” অস্বীকার করেছেন।

ইনস্টাগ্রামে বিবিসি বাংলা ফলো করতে ক্লিক/ট্যাপ করুন এখানে

সঙ্গম নোজ থেকে তিন-চার কিলোমিটার দূরে কল্পবৃক্ষ গেটের কাছে স্বজন হারিয়েছেন এমন অন্তত পাঁচটি পরিবারকে চিহ্নিত করেছে বিবিসি।

পান্নে লাল সাহনির স্ত্রী কুসুম দেবী জানান, ২৯শে জানুয়ারি সকাল আটটা নাগাদ তার স্বামীর মৃত্যু হয়।

তার কথায়, “লোকজন ওর দেহের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল। বিকেল চারটে পর্যন্ত ওই দেহ নিয়ে রোদের মদ্যে বসে ছিলাম। কেউ এসে আমাদের জলও দেয়নি।” তার পরিবার নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ৬৫ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল কাঠের নৌকা

কল্পবৃক্ষ গেটের কাছে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের অভিজ্ঞতাও একই রকম-সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতদেহ নিয়ে বসে ছিলেন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমন আরও ১৮টি পরিবার এগিয়ে এসে দাবি করেছে যে ভিড়ের চাপে পড়ে তাদের পরিজনদের মৃত্যু হলেও তারা এখনো ক্ষতিপূরণ পাননি।

এই ১৮ জনের তালিকায় রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের মীনা পাণ্ডে, যিনি তাঁর স্বামী ও প্রতিবেশী অর্চনা সিংয়ের সঙ্গে কুম্ভ মেলায় গিয়েছিলেন।

অর্চনা সিং জানিয়েছেন, তার মনে আছে কীভাবে ঘটনার সাত ঘণ্টা পর বিকেল তিনটে পর্যন্ত মীনা পাণ্ডের মৃতদেহ নিয়ে ঘটনাস্থলে বসেছিলেন।

২,৭৫০টি এআই-সক্ষম সিসিটিভি, ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী, ড্রোন এবং অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে বলে দাবি জানানো হলেও কোনো সাহায্য মেলেনি বলে জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার।

অর্চনা সিং জানিয়েছেন, বিকেল নাগাদ মৃতদেহে পচন ধরতে শুরু করে। গাড়িতে করে বাড়ি ফেরা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না।

মীনা পাণ্ডের পরিবারের মতোই উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ার শ্যামলাল গোন্দের আত্মীয়রাও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষায় রয়েছেন।

তার ছেলে ভাগীরথী গোন্দ বেঙ্গালুরুতে দিনমজুরের কাজ করেন। মৃত্যুর পর বাবার খোঁজে প্রয়াগরাজের হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছান তেসরা ফেব্রুয়ারি।

হাসপাতাল থেকে পাওয়া একটি স্লিপ অনুযায়ী, ২৯শে জানুয়ারি স্থানীয় সময় ১০.০২ মিনিটে শ্যামলাল গোন্দকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

তিনি বলেন, “আমার বাবাকে অজ্ঞাত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রেকর্ড হিসাবে তারা (হাসপাতালের কর্মীরা) একটি ফাইল রেখেছিলেন। যে অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে তার একটি ছবি তুলে রেজিস্টারে আটকে দিচ্ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করা কঠিন ছিল। পড়ে যাওয়ার পর তার মাথা নিচের দিকে ছিল, বুক যেন উপরের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, মুখও সামান্য বেঁকে গিয়েছিল।”

ভাগীরথী গোন্দ জানিয়েছেন, তাকে বলা হয়েছিল হাসপাতালের কর্মীরা তাকে মৃত্যুর সনদ বা অন্য কোনও কাগজপত্র দেবেন না।

“ওরা আমাকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে বলেছিল, কিন্তু আমি বলেছিলাম, আমি তা তখনই করব যখন সরকারি পদ্ধতি মেনে সমস্ত কিছু করা হবে,” বলেছিলেন তিনি।

তার বাবার ডেথ সার্টিফিকেট পেতে সময় লেগেছিল চার মাস। তবে এখনও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “সরকার এখনও মেনে নেয়নি যে আমার বাবা ভিড়ের চাপে পড়ে মারা গেছেন।”

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ