গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের আলোচিত অটোরিকশাচালক আরিফুল মণ্ডল (১৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম শিবরাম গ্রামের শহিদুল ইসলাম মণ্ডলের ছেলে নিহত অটোরিকশা চালক আরিফুল মণ্ডল প্রতিদিনের মত গত ২৮ জুন বিকেলে অটো নিয়ে ভাড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন ২৯ জুন সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের চাকলিয়ার বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের পিতা শহিদুল ইসলাম মণ্ডল বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
এরপরেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে পুলিশ। পরে উপজেলার মনমথ কালিতলা এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসেন মুশফিক (২৩) ও একই উপজেলার পশ্চিম শিবরাম (বাবুর দীঘিরপার) এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে শান্ত মিয়াকে (১৫) সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যার কথা স্বীকার করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরিফুল ইসলাম জানান, পূর্বের কথাকাটাকাটির জের ধরে ২৮ জুন রাতে মোশারফ হোসেন মুশফিক ও শান্ত মিয়া আরিফুল মণ্ডলকে উপজেলার চাকুলিয়ার বিলে নিয়ে যায়। সেখানে আরিফুলকে অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করায়। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে তারা দু’জন দুই দিকে টেনে ধরে আরিফুলকে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়। এরপর আসামিরা উক্ত অটোটি চালিয়ে উপজেলার নতুনহাট নামক এলাকার একটি নির্জন স্থানে গিয়ে অটোটি রেখে বিক্রির উদ্দেশে ব্যাটারি খুলে নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে ২৯ জুন সকালে চাকুলিয়ার বিল থেকে আরিফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ৩০ জুন সন্দেহভাজন হিসেবে আটক মুশফিক ও শান্ত মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আরিফুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বুধবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ, ডিএসবির অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, কাওসার আলীসহ অন্যরা।