শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বলেছেন, খুব সম্ভবত জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে পে-কমিশন সুপারিশ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে আমরা যে ইঙ্গিত পাচ্ছি তাতে ৫০, ৭০ এমনকি একশ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। এমন ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষা উপদেষ্টাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এদিকে মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতাসহ তিন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমি শুরু থেকেই শিক্ষকদের বেতন, প্রশিক্ষণ ও মর্যাদা বৃদ্ধির পক্ষে সোচ্চার। আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মীরাও এই বিষয়ে সহানুভূতিশীল।
এদিকে মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।
এতে সারা দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন। কিন্তু সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তারা। লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে পানি ছুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরদিন সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন করছেন তারা।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের অন্য দুটি দাবি হলো—শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।