দেশে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা চরমে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান রঞ্জন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এক অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। মব জাস্টিস চলছে অথচ ড. ইউনূস এসব নিয়ে কোনো কথা বলছেন না। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
’
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ মঞ্জুরুল ইসলাম পান্নার ইউটিউব চ্যানেল মানচিত্রে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আখতারুজ্জামান রঞ্জন এসব কথা বলেন।
আলোচনাসভায় তিনি দাবি করেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টেলিফোনে ‘অকথ্য ভাষায়’ ধমক দিয়েছেন। আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে এমন কথা বলেছেন, যা প্রকাশ করাও লজ্জার। ড. ইউনূস সেটা গোপন রেখেছেন, কারণ সেটি অপমানজনক।
’
আখতারুজ্জামান আরো অভিযোগ করেন, ‘একটি শিক্ষা বোর্ড গঠনে আলেম সমাজ ও এনসিপির কাউকে অন্তর্ভুক্ত না করায় সাংবাদিক ইলিয়াস বিদেশে বসে আসিফ নজরুলের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দেন। এভাবে যদি কথায় কথায় ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়, তাহলে দেশ যাবে কোথায়?’
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন থানায় হামলার প্রসঙ্গ টেনে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘পটিয়া, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম—পর পর তিনটি থানায় আক্রমণ হয়েছে। এসব ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে নয় বরং আইনের শাসন রক্ষায় ব্যবহার করতে হবে।
’
বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তাদের কোনো জন ম্যান্ডেট নেই। জুলাই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার পদত্যাগ, কোনো নতুন সরকার গঠন নয়। রাজনীতিবিদদের অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে দেশ আজ একটি অসাংবিধানিক পথে পা দিয়েছে। এর খেসারতও দিতে হচ্ছে। ড. ইউনূস কেন্দ্রীয় সরকারে আছে কিন্তু তার নিয়ন্ত্রণ নেই।
এই সরকার বিপ্লবী হলে আজকে এমন হতো না। কারণ এ সরকারের বৈধতা নেই।’