Sunday, August 24, 2025

যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলে টানা ২ বছর ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লেও মজুদ শেষ হবে না: ইরানি কমান্ডার

আরও পড়ুন

সম্প্রতি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, ইরানের কাছে সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে ১২ দিনের সংঘাতে বড় ধরনের হুমকি বিবেচনায় এ সংখ্যা আগামী কয়েক বছরে বাড়তে পারে কয়েকগুণ।

যদিও, তার এই দাবির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, ইরান কখনও সরাসরি জানায়নি তাদের কাছে কত সংখ্যক মিসাইল মজুদ রয়েছে। তবে, এবার ইরানের সমরাস্ত্র সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন খোদ দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি।

ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা মেহেরকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শহীদ জেনারেল হাজিজাদেহ (ইসরায়েলি হামলায় নিহতের আগ পর্যন্ত আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন) একবার বলেছিলেন যে যদি ইরান, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা যদি দুই বছর ধরে প্রতিদিন তাদের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করি, তাহলে আমাদের সম্পদের অভাব হবে না।’

আরও পড়ুনঃ  ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ১০ বছর ধরে যে রণকৌশলে এগোচ্ছে ইরান

সোমবার (৭ জুলাই) সংবাদ সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুতির শীর্ষে রয়েছে বলেও জানান আইআরজিসি উপদেষ্টা। ইরানের বেশিরভাগ প্রতিরক্ষা স্থাপনা এখনও দেখানো হয়নি বলেও জানান তিনি।

জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি বলেন, ‘বর্তমানে ভূগর্ভস্থ গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র শহর এবং স্থাপনাগুলো এত বিশাল যে আমরা এখনও আমাদের দেশের বেশিরভাগ প্রতিরক্ষা স্থাপনা এবং আমাদের দেশের কার্যকর ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইহুদি শত্রু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আমাদের দেশে আক্রমণ করতে চায়, তবে সেটি একটি দর্শনীয় দিন হবে। কারণ, তখন আমাদের সেনাবাহিনী, আইআরজিসি, স্থল ও বিমান বাহিনী তাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে।’

আরও পড়ুনঃ  বিমান অটোপাইলট মোডে দিয়ে মাঝ-আকাশে ঘনিষ্ঠ পাইলট ও বিমানসেবিকা!

গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার পর দেশটিতে অপারেশন ট্রু প্রমিজ-থ্রি অভিযান শুরু করে তেহরান। এ সময় প্রথমবারের মতো দূর পাল্লার অত্যাধুনিক সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি করে দেশটি। সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এর কঠিন জ্বালানি ব্যবহার। এই প্রযুক্তির কারণে এটিকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয়। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সক্ষম।

এছাড়া ইরানের অস্ত্রভান্ডারে রয়েছে হোভেইজেহসহ বিভিন্ন ধরনের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলমান হামলায় এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে দেশটি। আল–জাজিরার বিশ্লেষক গ্যাটোপুলোস বলেন, ইরানের হাতে এখন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ক্রমাগত উন্নত ও পরিণত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারই প্রত্যক্ষ ফলাফল।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ