ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ভোটের মেলা বসছে সব এলাকায়। খুলনা অঞ্চলেও বেশ সরব দেখা গেছে রাজনৈতিক নেতাদের।
দলের সুনজর পাওয়ার আসায় মাঠে সরব আছেন বিএনপির নেতারা। বহু আগে থেকেই দলটির আধিপত্য থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নেতার সংখ্যা নেহাত কম নয়। কোনো কোনো আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা পাঁচ ছাড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে একক প্রার্থী নিয়ে চমক দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। নিরবচ্ছিন্ন প্রচার চালিয়ে ইতোমধ্যে ভোটারদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে দলটি। আর প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও সম্ভাব্য ইসলামপন্থি দলগুলোর জোট গঠনের অপেক্ষায় আছে ইসলামী আন্দোলন।
অনেকেই বলছেন ইসলামপন্থিদের জোট হলে ভোটের হিসাব-নিকাশ অন্যরকম হতে পারে। ফলাফল আসতে পারে বিস্ময়কর। তবে গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ (এবি পার্টি) অন্য দলের তৎপরতা তেমন নেই।
আওয়ামী লীগের দম্ভ চূর্ণ করে ২০০১ সালে খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ২০০৮ সালে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে এবং ২০১৮ সালে জোটের শরিক হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। মামলা, জেল জীবন ও আত্মগোপনে থাকাবস্থায় সুযোগ পেলেই জনগণের নিবিড় সংযোগে ছিলেন। ফলে সাংগঠনিক শক্ত ভিত্তি বাড়তি শক্তি যোগাচ্ছে নির্বাচনি প্রচারণায়। ইতোমধ্যে দুই দফা দলের আমির এসেছেন খুলনায়। জনতার ঢল নামা জনসভায় জামায়াতের প্রার্থীদের জন্য ভোটারদের সমর্থন চেয়েছেন তিনি।
জামায়াতের হেভিওয়েট প্রার্থীকে মোকাবিলা করার মতো শক্তিশালী প্রার্থী সংকটে ভুগছিল বিএনপি। ৫ আগস্টের পরে এ আসনে গণসংযোগ শুরু করেন যুবদল জেলা শাখার আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ। স্থানীয় বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে অঙ্গ-সংগঠনের, পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নামেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শফি মোহাম্মদ খান তার অনুসারীদের নিয়ে গণসংযোগ করছেন। বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন শফি। এ আসনে বিএনপির নমিনি হতে চান ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ ও আমেরিকা প্রবাসী টিকু রহমানও।
অন্যদিকে গত ৩০ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন খুলনা সদর আসনের সাবেক এমপি, বিসিবির সাবেক সভাপতি আলী আসগার লবী। রাজনীতিতে লবীর প্রত্যাবর্তন নতুন আলোচনার জন্ম দেয়।
তিনি বলেন, হাই কমান্ডের নির্দেশে তিনি এসেছেন। দল চাইলে নির্বাচন করবেন। তবে তার ফিরে আসা মাঠে ও কাজ করা অন্য প্রার্থীদের নাখোশ করছে।