রাতের অন্ধকারে গোপনে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতেই গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। জানা গেছে, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সোহেল নামের ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পাবনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান। তার বয়স ৪৫ বছর।
নজরুল ইসলামের বাড়ি বাংলাদেশের পাবনা সদর উপজেলার কাছারিপাড়া এলাকায়। সোমবার (৭ জুলাই) গভীর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার হরিরামপুর ঘাট এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানীতলা থানার পুলিশ জানতে পারে, সীমান্ত পেরিয়ে এক বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে তাদের এলাকায় প্রবেশ করেছেন। এরপরই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজিত ঘোষের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর নজরুলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জবানবন্দিতে তিনি দাবি করেন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর দেশে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধপরায়ণতা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি হামলা, নিপীড়ন, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, শারীরিক নিগ্রহ ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়েন বলে জানান।
নজরুল পুলিশের কাছে আরও বলেন, ‘আমি যদি এলাকায় থাকতাম, তাহলে মেরে ফেলা হতো। শেখ হাসিনা যেহেতু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, আমিও প্রাণ রক্ষার জন্য সেই পথ বেছে নিয়েছি। আমি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আশায় গোপনে ভারতে প্রবেশ করেছি।’
তবে ভারতীয় পুলিশ নজরুল ইসলামের বক্তব্য আমলে না নিয়ে তার বিরুদ্ধে ১৯৪৬ সালের ফরেনার্স অ্যাক্ট, পাসপোর্ট আইনসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। পরদিন মঙ্গলবার তাকে মুর্শিদাবাদের লালবাগ মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়।
এই ঘটনার পর মুর্শিদাবাদ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল ও নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি এবং চেকপোস্ট কার্যক্রমও।