Saturday, July 19, 2025

যে স্লোগান কাঁপিয়ে দিয়েছিল জালিমের মসনদ

আরও পড়ুন

২০২৪ সালের ১৪ জুলাই। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলন এদিন নতুন এক বাঁক নেয়। বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। কোটা সংস্কার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার।

তবে এখানেই শেষ নয়। বক্তব্যের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা চাকরি পাবে?’ এই মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলে আখ্যায়িত করায় তা চরম অপমান হিসেবে গ্রহণ করে ছাত্রসমাজ।

আরও পড়ুনঃ  ব্যবসায়ীদের চাঁদাবাজের কবল থেকে রক্ষার আহ্বান বিএনপির

রাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বেরিয়ে আসেন। মধ্যরাতে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে শুরু করেন প্রতিবাদ সমাবেশ। এক সময় গর্জে ওঠে স্লোগান ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’

এই স্লোগান শুধু প্রতিবাদের ভাষাই ছিল না, এটি হয়ে ওঠে একটি প্রতিরোধের প্রতীক, যা রাতারাতি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর ঠিক ২২ দিন পর, ৫ আগস্ট ২০২৪, ব্যাপক জনরোষ, ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।

আরও পড়ুনঃ  কোন সমন্বয়ক এই আন্দোলনে জীবন দেয় নাই: ছাত্রদল নেতা আমান

ঠিক একবছর পর আজ ১৪ জুলাই ২০২৫, সেই ঐতিহাসিক দিনকে স্মরণ করে নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার’ যে স্লোগান কাঁপিয়ে দিয়েছিল জালিমের মসনদ।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ