Friday, July 18, 2025

‘আমার ছেলেকে কি এনে দিতে পারবে?, কান্নায় ভেঙে পড়লেন দীপ্ত সাহার মা

আরও পড়ুন

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। গুলিবিব্দ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ জন। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক মানুষ। নিহতদেরই একজন দীপ্ত সাহা। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গোটা বাড়িতে যেন নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

দীপ্তর পোশাক বুকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন মা বিভা রানী সাহা। বারবার বলছিলেন, ‘তোমরা কি আমার ছেলেকে এনে দিতে পারবে? যদি না–ই দিতে পারো, তাহলে কথা বলে কী লাভ? আমার ছেলেকে কেন মারা হলো? কী অপরাধ করেছে আমার ছেলে?’

আরও পড়ুনঃ  বাবাকে জড়িয়ে ধরতে সন্তানের আকুতি শুনে কাঁদলেন তারেক রহমান

নিহত দীপ্ত সাহা (৩৫) গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সন্তোষ সাহার ছেলে।

দীপ্তর ভাই সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘আমরা দুই ভাই একসঙ্গে পোশাকের ব্যবসা করি। প্রতিদিনের মতো ভাই দোকানে গিয়েছিলেন। কিন্তু শহরের পরিস্থিতি খারাপ দেখে দোকান বন্ধ করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তাড়া খেয়ে পাশের একটি জায়গায় আশ্রয় নিতে গেলে গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ মসজিদের সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলি পেটের ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাঁ পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।’

আরও পড়ুনঃ  গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য, ২৪ ঘণ্টায়ও মামলা হয়নি, আটক নেই

সঞ্জয় সাহা আরও বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই প্রথমে খবর পেয়ে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে দীপ্তকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই দীপ্ত সাহার লাশ বাড়িতে আনা হয় এবং গোপালগঞ্জ পৌর মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ