রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখন খোঁজ মেলেনি শনাক্ত করা যাচ্ছে না ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ফ্ল্যাইটে ছিলেন তৌকির। জেটটি পুড়ে যাওয়ার পর পুড়ে যাওয়া একটি লাশ উদ্ধার হলেও সেটি তৌকির নাকি অন্য কারো— সনাক্ত করা যাচ্ছে না। বাহিনীর পক্ষ থেকেও মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়নি। একটি সূত্র জানিয়েছে, হেলিকপ্টার এমআই ১৭-এ করে একজনকে সিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া আরও ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; যদিও এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানা গেছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় বিমানটি বিধস্ত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লিমা খান বলেন, আহত চারজনকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাইলস্টোন স্কুলের পাশে বিকট শব্দে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে আশেপাশের সবাই। ছুটে আসেন স্থানীয় অনেক মানুষ। অন্যদিকে পাশে থাকা মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এতে যোগ দেন পাশে থাকা সাধারণ জনগনও।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান উত্তরায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছে।
এর আগে এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, আমরা দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে সংবাদ পেয়েছি যে উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের কাছে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ করছে আরও দুটি ইউনিট রাস্তায় আছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য আমাদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। বর্তমানে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ চলছে।
এ ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুই প্লাটুন বিজিবি যোগ দিয়েছে।