Wednesday, July 23, 2025

দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শিক্ষা সচিব জুবায়ের

আরও পড়ুন

জুলাই বিপ্লবের পরও শিক্ষা খাতে বেশুমার দুর্নীতির জন্য সরাসরি দায়ী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জুবায়েরকে অবশেষ অপসারণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বই ছাপার কাগজ কেনাকাটায় কমিশন বাণিজ্য, সরকারি কলেজে পদায়নে বাণিজ্য, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোয় বিভিন্ন নিয়োগে অনিয়ম ও বেশুমার দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে তাকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন এই প্রতিবেদন (রাত ৯টা) লেখা পর্যন্ত জারি হয়নি। গত বছরের ১০ অক্টোবর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন সিদ্দিক জুবায়ের। মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচারবিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় সারা দেশ যখন শোকে স্তব্ধ, তখনই মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের প্রস্তাব দেয় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। প্রথমে সেই প্রস্তাব নাকচ করে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জুবায়ের। এমন সিদ্ধান্তের জেরে রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাত ২টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন। এই ঘটনায় গতকাল সচিবালয় ঘেরাও করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। পরে সিদ্দিক জুবায়েরকে অপসারণের কথা জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ‘শুধু পরীক্ষা স্থগিতের ইস্যুতে নয়, গত ১০ মাসের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল সরকার। বিশেষ করে গত বছরের বই ছাপার জন্য ৩০০ কোটি টাকার কাগজ কেনাকাটায় কমিশন বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া এই সচিব। এর আগেও দুই দফায় তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেও সরকারের দুজন উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে সম্ভব হয়নি।

শিক্ষা বোর্ডগুলোর আইন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ‘শিক্ষা বোর্ডগুলো বিশেষ অ্যাক্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশের জন্য তাদের সর্বময় ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের আমলে করা ১৯৬১ সালে অর্ডিন্যান্স সংশোধন হয় ২০২১ সালে। সেই অর্ডিন্যান্সের ধারা ২, সাব-সেকশন (২-এ) বলা হয়েছে মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সরকারের দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে ইন্টারমিডিয়েট ও সেকেন্ডারি পর্যায়ের বা এর যে কোনো পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করা সম্ভব না হলে সেই পরীক্ষা স্থগিত করা যাবে। শুধু তাই পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়ন এবং সনদ দিতে পারবে কিংবা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে পারবে।’ সেই আইনি ক্ষমতা ব্যবহার করে করোনার সময় পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাস, পরবর্তী দুই বছর সাবজেক্ট ম্যাপিং এবং অর্ধেক বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তাহলে এবার বোর্ড কেন পরীক্ষা স্থগিত করতে পারল না—এমন প্রশ্নে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির কালবেলাকে বলেন, ‘বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই বলতে পারবে। এত রাতে পরীক্ষা কেন স্থগিত হলো, তাও মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞেস করেন। আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

আরও পড়ুনঃ  গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় আরও বাড়লো, গ্রেফতার সংখ্যা যা জানা গেল

বোর্ডের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, যদিও বোর্ড আইনে বোর্ডকে পরীক্ষা স্থগিতের ক্ষমতা দেওয়া আছে, তবুও ‘কন্ট্রোলিং বডি’ হিসেবে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হয় এবং মৌখিক সম্মতি নিতে হয়। সোমবারের পরীক্ষার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল, কিন্তু মন্ত্রণালয় সায় দেয়নি।’

৩০০ কোটি টাকার কাগজ কেনাকাটায় দুর্নীতি

বিগত শিক্ষাবর্ষের ৪০ কোটির বেশি বই ছাপায় কাগজ কেনাকাটায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির মূল হোতা ছিলেন এই সিদ্দিক জুবায়ের। তিনি এনসিটিবির তৎকালীন চেয়ারম্যান, সচিব, সদস্য পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে প্রেস মালিকদের জিম্মি করে নির্দিষ্ট পেপার মিল থেকে কাগজ কেনাতে বাধ্য করেন। এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত আলোচিত নেতা সালাউদ্দিন তানভীরকে সামনে রেখে গত বছর কাগজ কেনাকাটায় বড় ধরনের কমিশন বাণিজ্যে করেন সিদ্দিক জুবায়ের। এই অভিযোগ তৎকালীন এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও সচিব অপসারিত হলেও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ নেতার আত্মীয় এই কর্মকর্তা সরানো হয়নি। এরই মধ্যে ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের জন্য এনসিপির বহিষ্কৃত নেতা গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরসহ ৩৬ জন প্রেস মালিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতির এই মাস্টারমাইন্ড সিদ্দিক জুবায়ের রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কর্মকর্তারা জানান, গত বছর শুষ্কমুক্ত কাগজ কেনায় ৩৩ কোটি টাকার যে কমিশন বাণিজ্যে হয়েছে পুরোটাই হয়েছে সচিবের নেতৃত্বে। তিনি প্রতিদিন অফিস শেষে সন্ধ্যায় যেতেন এনসিটিবিতে। তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, তিনি কোনো ফাইল দেখতেন না। শুধু মিটিং-সিটিং করে বেড়াতেন।’

বিতর্কিতদের পদায়নের হোতা

গত বছরের ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পর ড. শেখ আব্দুর রশীদকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব হলে পদায়ন পান। এরপর গত বছরের ১৪ অক্টোবর সিদ্দিক জুবায়েরকে ‘দুই বছরের জন্য’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারে সুবিধাভোগী আমলা। সরকারের দুজন উপদেষ্টার সুপারিশে তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পেয়েই বদলি পদায়নে বাণিজ্যে শুরু করেন সিদ্দিক জুবায়ের। শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর আস্থাভাজন জুবায়ের ওই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। সর্বশেষ অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে যান ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তার পিডিএস রেকর্ড বলছে, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ বিপুর চেষ্টায় যুগ্ম সচিব হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগে পদায়ন পান তিনি। এ মন্ত্রণালয়ে থাকাকালে ২০১৭ সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান।

আরও পড়ুনঃ  বিমান বিধ্বস্তের সময় ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ে যা জানা গেল

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, শিক্ষা প্রশাসনে অস্থিরতার জন্য দায়ী সিদ্দিক জুবায়ের। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রদল বা ছাত্রশিবির করা কর্মকর্তাদের হয়রানি করতে থাকেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালককে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ওই কর্মকর্তা রাজনৈতিক দেনদরবারের মাধ্যমে পদ রক্ষা করেছেন। সচিব তার নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জ থেকে একাধিক কর্মকর্তাকে মাউশিতে পদায়ন করেন। পরিচালক (প্রকিউরমেন্ট) এবং উপপরিচালক (মাধ্যমিক উইং) পদে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান তার আস্থাভাজন দুই কর্মকর্তাকে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও নওফেলের ‘ক্যাশিয়ার খ্যাত’ ব্যানবেইসের সাবেক সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমানকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অর্থ) পদে পদায়ন করেন। এ পদায়নে জুবায়েরের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ মাউশির মহাপরিচালক করা হয় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর আস্থাভাজন এহতেসাম উল হককে। পরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা সচিবের রুমে গিয়ে হট্টগোল করলে মাত্র ২০ দিনের মাথায় তাকে সরিয়ে দেয়। এ মহাপরিচালককে ফের নিয়ে আসেন সচিব। শুধু তাই নয়, দীপু মনির ঘনিষ্ঠজন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা শাখার আলোচিত প্রকল্প পরিচালক শফিউল আজমকে তার পদে রেখে সব প্রকল্পের তদারকি করাতেন। শিক্ষা খাতের অধিকাংশ প্রকল্পের কমিশন পূর্ববর্তী সরকারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আদায় করা হতো। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পে স্মার্ট টিভির পরিবর্তে ইন্টারেক্টিভ প্যানেল ব্যবহারের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা কমিশন নেওয়ার ব্যবস্থা করেন সিদ্দিক জুবায়ের।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে প্রথম আলোর সম্পাদক-প্রকাশকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আওয়ামী স্লোগানধারীদের রক্ষার মিশন

সিদ্দিক জুবায়েরের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় অভিযোগ ছিল—২০২৪ সালের ৪ আগস্ট শিক্ষাভবনে জুলাই আন্দোলনবিরোধী মিছিল করা শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় কর্মকর্তাদের শাস্তির হাত থেকে রক্ষা করা। ওই মিছিলে ‘চলছে লড়াই চলবে, শেখ হাসিনা লড়ব’ এবং ‘শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা কেন, খুনি খালেদা জবাব দে’—এমন স্লোগান দেওয়া হয়। ওইসব ক্যাডার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই দফায় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ আটকে যায় সিদ্দিক জুবায়েরের বাধায়। সর্বশেষ মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক ওই স্লোগানদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ২৪ জুন ২১ জন এবং ২০ জুলাই আরও ২০ ক্যাডার কর্মকর্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ যেন করতে না পারে সে উদ্যোগে বাধা দেন সিদ্দিক জুবায়ের।

শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, সিদ্দিক জুবায়ের একটি ‘ভয়ংকর প্ল্যানের’ অংশ হিসেবে সরকারকে তরুণ সমাজের মুখোমুখি করেছিলেন। এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত নিয়ে তিনি নানা টালবাহানা করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার প্রশাসনিক বিষয়ে দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সিদ্দিক জুবায়ের একটি ‘ব্লান্ডার’ (ইচ্ছাকৃত ভুল) তৈরির চেষ্টা করেন। সচিবের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ। সেই সুবাদে শামীম ওসমানের সঙ্গে তার সখ্য ছিল এবং তার পরিবারের আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিও বারবার উঠে আসে।

এদিকে বদলি বাণিজ্যের অভিযোগে বিতাড়িত সাবেক যুগ্ম সচিব (কলেজ) নুরুজ্জামানের মাধ্যমে বদলি বাণিজ্যের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন সিদ্দিক জুবায়ের। নতুন সরকার গঠনের পর দেশের প্রায় প্রতিটি কলেজে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও প্রশাসনে কর্মকর্তা পদায়নে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠার পর নুরুজ্জামানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। কিন্তু তার পরও তিনি ছিলেন স্বপদে। এ ছাড়া আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তাদের মাউশি, এনসিটিবি, ও নায়েমে পদায়ন করতে সিদ্দিক জুবায়ের সহযোগিতা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার একক সিদ্ধান্তে স্কুল ভর্তিতে বিতর্কিত জুলাই কোটা চালু করে পরে সমালোচনার মুখে তা সংশোধন করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ৭০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলাকারী অধ্যাপক মালেকা আক্তার বানুকে করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ।

উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সিদ্দিক জুবায়েরের সাক্ষাৎ চেয়েও সম্ভব হয়নি। মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ