Sunday, July 27, 2025

দেড় মাস দাম্পত্য জীবনের পর জানা গেল নববধূ পুরুষ!

আরও পড়ুন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দেড় মাস সংসার করার পর জানা গেছে, মাহমুদুল হাসান শান্ত (ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে) যাকে বিয়ে করেছিলেন, সেই নববধূ সামিয়া আসলে একজন পুরুষ। গত শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় এ তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কথিত সামিয়ার প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। দীর্ঘদিন ফেসবুকে ‘সামিয়া’ নামে একটি নারীর ছদ্মবেশে পরিচিতি গড়ে তোলেন শাহিনুর। পরবর্তীতে গত ৭ জুন তিনি শান্তর বাড়িতে চলে আসেন। পরিবারের সম্মতিতে, স্থানীয়দের উপস্থিতিতে এবং মৌলভি ডেকে শান্ত ও সামিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুনঃ  গোপালগঞ্জে নিহতদের ছবিতে নিজের মুখ, ক্ষুব্ধ জুলাইযোদ্ধা

এরপর থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারের সঙ্গে ছিলেন সামিয়া। দেড় মাসেও কেউ বুঝতে পারেননি যে তিনি আসলে একজন পুরুষ। তবে সম্প্রতি তার কিছু আচরণ দেখে পরিবার ও শান্তর মনে সন্দেহ তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, সামিয়া প্রকৃতপক্ষে পুরুষ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় হৈচৈ শুরু হয় এবং ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

শান্ত জনকণ্ঠকে জানান, “ফেসবুকের মাধ্যমে সামিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে চলে আসে। পরিবারের সিদ্ধান্তে বিয়ে দেওয়া হয়। সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কাবিননামা রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বিয়ের পর থেকেই তার আচরণ রহস্যজনক ছিল। কাছে যেতে চাইলে বলত, ‘আমি অসুস্থ, ডাক্তার নিষেধ করেছে।’”

আরও পড়ুনঃ  অবশেষে গোপালগঞ্জে সেনা সদস্যের পদত্যাগ নিয়ে জানা গেল যা!

শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, “একজন পুরুষ মানুষ আমাদের পরিবারে বউ হয়ে ছিল, অথচ আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। অভিনয় করে আমাদের মন জয় করে নিয়েছিল।”

ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর শনিবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে শাহিনুরকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া ফোনে জনকণ্ঠকে বলেন, “শান্তর সঙ্গে যা করেছি, সেটা আমার অন্যায়। আমার হরমোনজনিত সমস্যা আছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতেই ভালো লাগে।”

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ