জিল্লুর রহমান ছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবার বিএনপির ইউনিয়ন আহ্বায়ক কমিটিতে পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।
বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য পদ পাওয়া জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন উপজেলার শত শত বিএনপির নেতাকর্মী। তাঁর বড় ভাই তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুছ আলী।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় তাহিরপুরের সাত ইউনিয়নে ১১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নে আহ্বায়ক করা হয়েছে বশির মিয়াকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে আব্দুস সালামকে। ওই কমিটিতে ১১ নম্বর সদস্য হিসেবে আছেন জিল্লুর রহমান।
এদিকে কমিটি প্রকাশের পরপরই বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে জিল্লুর রহমানকে সদস্য হিসেবে দেখতে পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ফেসবুকে মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল নামে একজন লিখেছেন, “দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কমিটি কত টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে, তাহিরপুরবাসী জানতে চায়?”
জুয়েল আহমেদ নামে আরেকজন লিখেছেন, “আজ রাতের মধ্যে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে জিল্লুরকে বাদ না দেওয়া হলে, আগামীকাল মানববন্ধন করা হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।”
উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, “আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে, আসন সীমিত। আগ্রহীরা চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করতে পারেন।”
অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান বলেন, ব্যবসায়িক কাজে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা করতে হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে যুবদলের রাজনীতি করে আসছি। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল হক বলেন, বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পাওয়া জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগে সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে তাঁর পদ বাতিল হবে।